যে ১১টি বিষয় গুরুত্ব পেল আওয়ামী লীগের ইশতেহারে
- আপডেট সময় : ০৬:১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগান সামনে রেখে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১.২০ মিনিটে সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেন।
জানা গেছে আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এর মোড়কে একটি স্লোগান উল্লেখ করা হয়েছে। স্লোগানটি হলো- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’।
ইশতেহারে অগ্রাধিকার পাওয়া বিষয়গুলো হলো-
১) দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২) কর্মপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩) আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪) লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫) দৃশ্যমান অবকাঠামো সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬) ব্যাংকসহ আর্থিক খাতের দক্ষতা সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭) নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা সুলভ করা।
৮) সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা
৯) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
১০) সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরণের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা এবং
১১) সর্বস্তরের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করতে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগের ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি। কমিটির তৈরি খসড়া থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে- চূড়ান্ত ইশতেহার।
এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। তাতে ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা দেয়া হয়।
২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের সনদ’ নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। সেই ইশতেহারের অঙ্গীকারে বলা ছিল- ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে।