ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার (পহেলা জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অন্য আসমিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাদেরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, ড. ইউনূসকে আলাদা দু’টি ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিকের পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলেছে আদালত।

সাজার রায় ঘোষণার পর আদালত আপিল করার জন্য আসামিদের একমাসের জামিনও দিয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ডক্টর ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, লভ্যাংশ না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ডক্টর ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিলেন।

এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে শ্রম আদালতে পৌঁছান ড. ইউনূস। পরে বেলা ২টার কিছু সময় পর বিচারক এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়া শুরু করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এই আদালতে নোবেল জয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর বিচার হচ্ছে।

গত সপ্তাহের রোববার চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ সোমবার রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রম আদালতে উপস্থিত হন ড. ইউনূস। যুক্তিতর্ক শেষে সাংবাদিকদের ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি নির্দোশ, রায়ে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।’

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহস্পতিবার তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অসমাপ্ত থাকায় রোববার তা আবার উপস্থাপন করা হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও আসামি করা হয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৫:১২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার (পহেলা জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অন্য আসমিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাদেরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, ড. ইউনূসকে আলাদা দু’টি ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিকের পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলেছে আদালত।

সাজার রায় ঘোষণার পর আদালত আপিল করার জন্য আসামিদের একমাসের জামিনও দিয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ডক্টর ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, লভ্যাংশ না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ডক্টর ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিলেন।

এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে শ্রম আদালতে পৌঁছান ড. ইউনূস। পরে বেলা ২টার কিছু সময় পর বিচারক এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়া শুরু করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এই আদালতে নোবেল জয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর বিচার হচ্ছে।

গত সপ্তাহের রোববার চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ সোমবার রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রম আদালতে উপস্থিত হন ড. ইউনূস। যুক্তিতর্ক শেষে সাংবাদিকদের ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি নির্দোশ, রায়ে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।’

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহস্পতিবার তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অসমাপ্ত থাকায় রোববার তা আবার উপস্থাপন করা হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও আসামি করা হয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে।