এক বছরে ১৩৫১ কন্যা এবং ১৫৮৬ নারী নির্যাতনের শিকার
- আপডেট সময় : ০৭:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৫১৬ বার পড়া হয়েছে
২০২৩ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২৯৩৭ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ৬৩৯ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তারমধ্যে ৪৩১ জন কন্যা ও ২০৮ জন নারী। ৬৯ জন কন্যাসহ ১৪০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ২৫ জন কন্যাসহ ৩৪ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৯ জন কন্যাসহ ১৪ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি ৬৮ জন কন্যাসহ ৯৮ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ২০২৩ সালের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১ জানুয়ারি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২৩ সালে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪৯ জন, এরমধ্যে ১০৩ জন কন্যা। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৯৩ জন, এরমধ্যে ৮৪ জন ছিল কন্যা। উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ৮ জন কন্যাসহ ৯ জন। বিভিন্ন কারণে ৮৭ জন কন্যাসহ ৪৯৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ১৯ জনকে, এরমধ্যে কন্যা ৬ ছিল জন। ৭৪ জন কন্যাসহ ২৬৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১০২ জন কন্যাসহ ২৭৯ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এরমধ্যে ১০ জন কন্যাসহ ৩৮ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ৩ জন কন্যাসহ ৬ জন।
এ ছাড়া ২০২৩ সালে নারী ও কন্যা পাচারের শিকার হয়েছেন ১৩ জন, এরমধ্যে ১০ জন ছিল কন্যা। এসিডদগ্ধ ৮ জনের মধ্যে কন্যা ছিল ৪ জন। ৩৪ জনের অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে ২০ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। ৮ জন কন্যা অগ্নিদগ্ধসহ ১ জন কন্যার অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১২২ জন, এরমধ্যে ৫২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২৩১ জন, এরমধ্যে ৮৩ জন ছিল কন্যা। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩২ জন।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ২০২৩ সালে ১৮ জন কন্যাসহ ২৫ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এরমধ্যে ৮ জন গৃহকর্মীর হত্যার এবং ৪ জন গৃহকর্মীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১১৫ জন কন্যাসহ ১৩২ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন এবং ১৩ জন কন্যাসহ ৩৩ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ১ জন কন্যাসহ ১২ জন ফতোয়া শিকার হয়েছেন। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২ জন কন্যাসহ ৮ জন। ১৭ জন কন্যাসহ ৪৪ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। এ বছর বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২৩ টি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৫০ টি। এছাড়া ৪৩ জন কন্যাসহ ১২২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।