০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয় সুসংহত করার শপথ ওবায়দুল কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে আজকের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল। আজকের দিনের শপথ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশে যে বিষবৃক্ষ ছড়িয়েছে, তা সমূলে উৎপাটন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়কে সুসংহত করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়কে সংহত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা অভিমুখে আমাদের অধিকার অব্যাহত থাকবে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো এবং টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা-পাগল, মুক্তিকামী বাঙালি মরণপণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে আমাদের বিজয় ছিল অসম্পূর্ণ। বিজয়ের ঘরে ছিল শূন্যতা। বঙ্গবন্ধু নেই, বিজয়ের মহানায়ক নেই, বিজয় যেন অনুপস্থিত। দশ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যখন এলেন তখনই আমাদের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়।’

তিনি আরো বলেন, ৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে আবার উল্টোপথে যাত্রা শুরু হয় দেশের। চিরাচরিত পাকিস্তানি ধারায় বাংলাদেশ ফিরে যায়। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ স্বাধীনতার আদর্শ লুণ্ঠিত হয়। জয় বাংলা নির্বাসিত হয়। দীর্ঘ ২১ বছর দেশ আবারো পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক ধারায় চলে যায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের দিন আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের দেশে এখন সম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির যে বীজবৃক্ষ ডালপালা বিস্তার করেছে, এই সাম্প্রদায়িক বীজবৃক্ষকে উৎপাটন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়কে সংহত করে, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন সোনার বাংলা অভিমুখে আমাদের অধিকার অব্যাহত থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের আজকের দিনে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানের লাহোর থেকে প্রায় ৮০ মাইল দূরে লায়ালপুর শহরের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তি লাভ করেন শেখ মুজিব। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফেরেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয় সুসংহত করার শপথ ওবায়দুল কাদেরের

আপডেট : ০৬:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে আজকের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল। আজকের দিনের শপথ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশে যে বিষবৃক্ষ ছড়িয়েছে, তা সমূলে উৎপাটন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়কে সুসংহত করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়কে সংহত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা অভিমুখে আমাদের অধিকার অব্যাহত থাকবে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো এবং টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা-পাগল, মুক্তিকামী বাঙালি মরণপণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে আমাদের বিজয় ছিল অসম্পূর্ণ। বিজয়ের ঘরে ছিল শূন্যতা। বঙ্গবন্ধু নেই, বিজয়ের মহানায়ক নেই, বিজয় যেন অনুপস্থিত। দশ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যখন এলেন তখনই আমাদের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়।’

তিনি আরো বলেন, ৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে আবার উল্টোপথে যাত্রা শুরু হয় দেশের। চিরাচরিত পাকিস্তানি ধারায় বাংলাদেশ ফিরে যায়। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ স্বাধীনতার আদর্শ লুণ্ঠিত হয়। জয় বাংলা নির্বাসিত হয়। দীর্ঘ ২১ বছর দেশ আবারো পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক ধারায় চলে যায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের দিন আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের দেশে এখন সম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির যে বীজবৃক্ষ ডালপালা বিস্তার করেছে, এই সাম্প্রদায়িক বীজবৃক্ষকে উৎপাটন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়কে সংহত করে, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন সোনার বাংলা অভিমুখে আমাদের অধিকার অব্যাহত থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের আজকের দিনে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানের লাহোর থেকে প্রায় ৮০ মাইল দূরে লায়ালপুর শহরের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তি লাভ করেন শেখ মুজিব। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফেরেন।