১০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

টানা পাঁচ মাসের অধিক সময় হাসপাতালে থেকে অবশেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের নেতাকর্মীরা।

এর আগে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করলে ম্যাডামকে বাসায় আনার সিদ্ধান্ত হয়।

২০২৩ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। আবার সন্ধ্যায় অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়।

একই হাসপাতালে ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার যকৃতের রক্তনালীতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন চিকিৎসক দেশে আসেন। ওই তিন চিকিৎসক হলেন—যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ আহমাদ আবদুর রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও হেপাটোলজির অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন। অস্ত্রোপচারের ফলে লিভার সিরোসিসজনিত জটিলতা কিছুটা উপশম হবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা।

বিএনপির দাবি ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরোনো হয়।

Tag :

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

আপডেট : ০১:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

টানা পাঁচ মাসের অধিক সময় হাসপাতালে থেকে অবশেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের নেতাকর্মীরা।

এর আগে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করলে ম্যাডামকে বাসায় আনার সিদ্ধান্ত হয়।

২০২৩ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। আবার সন্ধ্যায় অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়।

একই হাসপাতালে ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার যকৃতের রক্তনালীতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন চিকিৎসক দেশে আসেন। ওই তিন চিকিৎসক হলেন—যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ আহমাদ আবদুর রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও হেপাটোলজির অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন। অস্ত্রোপচারের ফলে লিভার সিরোসিসজনিত জটিলতা কিছুটা উপশম হবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা।

বিএনপির দাবি ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরোনো হয়।