১১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মার্কিন’ ট্যাংকার জব্দ করে প্রতিশোধ নিল ইরান

ওমান উপসাগর থেকে একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান। বৃহস্পতিবার জব্দ করা মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী সেন্ট নিকোলাস নামের ট্যাংকারটি ইরাক থেকে তেল নিয়ে তুরস্কে যাচ্ছিল। গত বছর এই ট্যাংকারই বাজেয়াপ্ত করার প্রতিশোধ হিসেবে এবার এটি জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি ইরানের।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গত বছর এই একই ট্যাংকার ও তাতে থাকা ইরানি তেল বাজেয়াপ্ত করে আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞার আওতায় এটি করা হয় বলে জানিয়েছিল দেশটি। তখনই ইরান হুঁশিয়ার করে বলেছিল, এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে। ট্যাংকারটির আগের নাম ছিল সুয়েজ রাজন।

বৃহস্পতিবার জব্দ করা ট্যাংকার নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে ইরানের নৌবাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, আদালতের নির্দেশেই এটি জব্দ করা হয়। আধা–সরকারি ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্স বলছে, গত বছর আমেরিকা ইরানের তেল চুরি করে নিয়ে যায়। এর জবাবে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের আদেশে এই ট্যাংকার জব্দ করে ইরানের বন্দরে আনা হলো।

ট্যাংকারে এক লাখ ৪৫ হাজার ব্যারেল তেল রয়েছে। এ ঘটনার জেরে লোহিত সাগরে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ট্যাংকারটি গ্রিক মালিকানাধীন। হবে ইরান দাবি করছে, এটি আমেরিকার। এ নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

সেন্ট নিকোলাস নামের ট্যাংকারটি এম্পায়ার নেভিগেশন নামের গ্রিক শিপিং কোম্পানির সাথে সম্পৃক্ত। অ্যাথেন্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য এখনো ‘ছিনতাইয়ের’ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। এতে ১৯ জন ক্রু ছিলেন।

ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতিরা গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দক্ষিণ লোহিত সাগরের জাহাজ চলাচল রুটে ২৫ বারের বেশি হামলা চালিয়েছে। আর চলতি সপ্তাহে তারা সবচেয়ে বড় হামলাটি চালায়। তারা মূলত ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কিত জাহাজে হামলা চালায়।

বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

‘মার্কিন’ ট্যাংকার জব্দ করে প্রতিশোধ নিল ইরান

আপডেট : ০৬:১২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

ওমান উপসাগর থেকে একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান। বৃহস্পতিবার জব্দ করা মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী সেন্ট নিকোলাস নামের ট্যাংকারটি ইরাক থেকে তেল নিয়ে তুরস্কে যাচ্ছিল। গত বছর এই ট্যাংকারই বাজেয়াপ্ত করার প্রতিশোধ হিসেবে এবার এটি জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি ইরানের।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গত বছর এই একই ট্যাংকার ও তাতে থাকা ইরানি তেল বাজেয়াপ্ত করে আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞার আওতায় এটি করা হয় বলে জানিয়েছিল দেশটি। তখনই ইরান হুঁশিয়ার করে বলেছিল, এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে। ট্যাংকারটির আগের নাম ছিল সুয়েজ রাজন।

বৃহস্পতিবার জব্দ করা ট্যাংকার নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে ইরানের নৌবাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, আদালতের নির্দেশেই এটি জব্দ করা হয়। আধা–সরকারি ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্স বলছে, গত বছর আমেরিকা ইরানের তেল চুরি করে নিয়ে যায়। এর জবাবে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের আদেশে এই ট্যাংকার জব্দ করে ইরানের বন্দরে আনা হলো।

ট্যাংকারে এক লাখ ৪৫ হাজার ব্যারেল তেল রয়েছে। এ ঘটনার জেরে লোহিত সাগরে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ট্যাংকারটি গ্রিক মালিকানাধীন। হবে ইরান দাবি করছে, এটি আমেরিকার। এ নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

সেন্ট নিকোলাস নামের ট্যাংকারটি এম্পায়ার নেভিগেশন নামের গ্রিক শিপিং কোম্পানির সাথে সম্পৃক্ত। অ্যাথেন্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য এখনো ‘ছিনতাইয়ের’ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। এতে ১৯ জন ক্রু ছিলেন।

ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতিরা গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দক্ষিণ লোহিত সাগরের জাহাজ চলাচল রুটে ২৫ বারের বেশি হামলা চালিয়েছে। আর চলতি সপ্তাহে তারা সবচেয়ে বড় হামলাটি চালায়। তারা মূলত ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কিত জাহাজে হামলা চালায়।

বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।