ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করলো সরকার।

শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ৬টি সংস্থার বিবৃতির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে নতুন নির্বাচনের আহবানও প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও অনেক দেশ প্রশংসা করেছে। নতুন সরকারকেও স্বাগত জানিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে নির্বাচনের আহ্বান অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচনে গ্রামীণ অনেক স্থানে ভোট পড়ার হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তাতে ভোট প্রদানের গড় হার প্রায় ৪২ শতাংশ হয়। কিন্তু শহর এলাকায় তুলনামূলক কিছু কম ভোটার উপস্থিতি ছিল।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক যারা সক্রিয়ভাবে মাঠ থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছেন তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন।’

‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মোকাবিলা করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলি প্রয়োজনীয় ছিল।’

‘তাই এই যৌথ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর, একতরফা এবং অগ্রহণযোগ্য। গণতন্ত্র বিরোধী ও নির্বাচন বিরোধী শক্তি যারা নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এটি বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান।’

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান

আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করলো সরকার।

শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ৬টি সংস্থার বিবৃতির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে নতুন নির্বাচনের আহবানও প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও অনেক দেশ প্রশংসা করেছে। নতুন সরকারকেও স্বাগত জানিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে নির্বাচনের আহ্বান অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচনে গ্রামীণ অনেক স্থানে ভোট পড়ার হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তাতে ভোট প্রদানের গড় হার প্রায় ৪২ শতাংশ হয়। কিন্তু শহর এলাকায় তুলনামূলক কিছু কম ভোটার উপস্থিতি ছিল।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক যারা সক্রিয়ভাবে মাঠ থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছেন তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন।’

‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মোকাবিলা করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলি প্রয়োজনীয় ছিল।’

‘তাই এই যৌথ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর, একতরফা এবং অগ্রহণযোগ্য। গণতন্ত্র বিরোধী ও নির্বাচন বিরোধী শক্তি যারা নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এটি বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান।’