ঢাকার বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসাথে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ই জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত একই সাথে এক মাসের মধ্যে সারাদেশের লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের সংখ্যা জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৫ বছরে ইউনাইটেড হাসপাতালে তাদের অবহেলার করাণে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

এদিন রিটকারী আইনজীবী আদালতকে বলেন, একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় চিত্রনায়ক মান্নার, সে বিষয়েও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করা হয়েছিল।

এর আগে গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে হাসপাতালটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমেদের (৫+ বছর) মৃত্যুতে তার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের পরিচালকের (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) নেতৃত্বে ১০ জানুয়ারি হাসপাতালটি পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রদত্ত লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরপরই সেটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় গত ৯ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন আয়ানের বাবা মো. শামীম আহমেদ।

উল্লেখ্য, গেল ৩১শে ডিসেম্বর আয়ানকে ফুল অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে খৎনা করায় সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পরও জ্ঞান না ফেরায় সেখান থেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয় আয়ানকে। সেখানে সাত দিন পিআইসিইউতে (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) লাইফ সাপোর্টে রাখার পর ৭ই জানুয়ারি মাঝরাতে আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তদন্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।