১০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫০২৪ : বিআরটিএ

সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে সড়কে ৫ হাজার ৪৯৫টি দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ২৪ জন নিহত ও ৭ হাজার ৪৯৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৩২২ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩৩ জন ও আহত হন ৩৩৬ জন; ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০৮ দুর্ঘটনায় নিহত ৩০৩ ও আহত ৪১৬ জন; মার্চ মাসে ৩৮৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৪১৫ ও আহত ৬৮৮; এপ্রিল মাসে ৪৭৬ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৫৯ ও আহত ৭০৫ জন; মে মাসে ৪৮৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯৪ ও আহত ৬৪৯ জন; জুন মাসে ৫৬২ দুর্ঘটনায় নিহত ৫০৪ ও আহত ৭৮৫ জন; জুলাই ৫৬৬ দুর্ঘটনায় ৫৩৩ ও ৯৩৪ জন; আগস্ট মাসে ৪৫৮ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭৬ ও আহত ৬৯৫ জন; সেপ্টেম্বর মাসে ৪৫৪ দুর্ঘটনায় নিহত ৪১০ ও আহত ৬০৯ জন; অক্টোবর মাসে ৪৩৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯৪ ও আহত ৪৯২ জন; নভেম্বর মাসে ৫৫৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭০ ও আহত ৫৮১ জন এবং ডিসেম্বর মাসে ৪৮৩ দুর্ঘটনায় ৪৩৩ জন নিহত ও ৬৪১ জন আহত হয়েছেন।

নুর মোহাম্মদ মজুমদার আরও বলেন, ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত মোট ৭ হাজার ৮৩৭টি মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ২০৬টি, বাস/মিনিবাস ১ হাজার ৮৩টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৩৮৯টি, পিকআপ ৩৭০টি, মাইক্রোবাস ২২৬টি, অ্যাম্বুলেন্স ১৬১টি, মোটরসাইকেল ১ হাজার ৭৪৭টি, ভ্যান ২৩০টি, ট্রাক্টর ১২৮টি, ইজিবাইক ২১৭টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৪১৫টি, অটোরিকশা ৪৯৭টি এবং অন্যান্য যান ১ হাজার ১৬৮টি রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে সারা দেশে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত ও ১০ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তাদের এই প্রতিবেদনকে অতিরঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, বিআরটিএর সংগৃহীত সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিয়মিত বিআরটিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে। বিআরটিএর বর্ণিত তথ্যের বাইরে অন্য কোনো তথ্য পাওয়া গেলে বা কোনো অসংগতি থাকলে তা বিআরটিএকে অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার প্রকাশিত তথ্য বিআরটিএর তথ্যের সঙ্গে অমিল থাকা সত্ত্বেও বিআরটিএকে এ বিষয়ে কোনো কিছু অবহিত করা হয়নি। এতে তাদের প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫০২৪ : বিআরটিএ

আপডেট : ০৯:২২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে সড়কে ৫ হাজার ৪৯৫টি দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ২৪ জন নিহত ও ৭ হাজার ৪৯৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৩২২ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩৩ জন ও আহত হন ৩৩৬ জন; ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০৮ দুর্ঘটনায় নিহত ৩০৩ ও আহত ৪১৬ জন; মার্চ মাসে ৩৮৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৪১৫ ও আহত ৬৮৮; এপ্রিল মাসে ৪৭৬ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৫৯ ও আহত ৭০৫ জন; মে মাসে ৪৮৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯৪ ও আহত ৬৪৯ জন; জুন মাসে ৫৬২ দুর্ঘটনায় নিহত ৫০৪ ও আহত ৭৮৫ জন; জুলাই ৫৬৬ দুর্ঘটনায় ৫৩৩ ও ৯৩৪ জন; আগস্ট মাসে ৪৫৮ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭৬ ও আহত ৬৯৫ জন; সেপ্টেম্বর মাসে ৪৫৪ দুর্ঘটনায় নিহত ৪১০ ও আহত ৬০৯ জন; অক্টোবর মাসে ৪৩৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯৪ ও আহত ৪৯২ জন; নভেম্বর মাসে ৫৫৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭০ ও আহত ৫৮১ জন এবং ডিসেম্বর মাসে ৪৮৩ দুর্ঘটনায় ৪৩৩ জন নিহত ও ৬৪১ জন আহত হয়েছেন।

নুর মোহাম্মদ মজুমদার আরও বলেন, ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত মোট ৭ হাজার ৮৩৭টি মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ২০৬টি, বাস/মিনিবাস ১ হাজার ৮৩টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৩৮৯টি, পিকআপ ৩৭০টি, মাইক্রোবাস ২২৬টি, অ্যাম্বুলেন্স ১৬১টি, মোটরসাইকেল ১ হাজার ৭৪৭টি, ভ্যান ২৩০টি, ট্রাক্টর ১২৮টি, ইজিবাইক ২১৭টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৪১৫টি, অটোরিকশা ৪৯৭টি এবং অন্যান্য যান ১ হাজার ১৬৮টি রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে সারা দেশে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত ও ১০ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তাদের এই প্রতিবেদনকে অতিরঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, বিআরটিএর সংগৃহীত সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিয়মিত বিআরটিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে। বিআরটিএর বর্ণিত তথ্যের বাইরে অন্য কোনো তথ্য পাওয়া গেলে বা কোনো অসংগতি থাকলে তা বিআরটিএকে অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার প্রকাশিত তথ্য বিআরটিএর তথ্যের সঙ্গে অমিল থাকা সত্ত্বেও বিআরটিএকে এ বিষয়ে কোনো কিছু অবহিত করা হয়নি। এতে তাদের প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।