ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইরান–পাকিস্তানের হামলা, চীন–আমেরিকা কে কার পাশে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের মধ্যেই এবার উত্তেজনা শুরু হলো ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে। একে অপরের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে দেশ দুটো। সেসব হামলার কারণও জানানো হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও আসছে প্রতিক্রিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে হামলা চালায় ইরান। তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জইশ আল-আদল নামে এক ‘সন্ত্রাসবাদী’ গোষ্ঠীর দুটি ঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে দুই শিশু নিহত ও তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এর জেরে পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক হামলায় ইরানে ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪ শিশু ও তিনজন নারী রয়েছেন।

দুই দেশের মধ্যকার এই পাল্টাপাল্টি হামলার কারণে অন্তত ১১ জন মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে এক সংকটের পর এবার আরেক সংকট শুরু হলো। পাকিস্তান ছাড়াও ইরাক ও সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান।

এ নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। প্রাথমিকভাবে কোনো দেশকেই পক্ষ নিতে দেখা যায়নি। উভয়পক্ষ থেকেই সংযম আশা করছে চীন। দেশটি এখন পর্যন্ত কারও পক্ষ নেয়নি।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষকেই বলব শান্ত থাকতে, কোনো উত্তেজনা তৈরি না করতে। এই অঞ্চলে দুই পক্ষই যেন শান্তি বজায় রাখে।’

ইরান–পাকিস্তান ইস্যু আরও বড় আকার ধারণ করলে ঝামেলায় পড়তে হবে চীনকে। পাকিস্তানের সঙ্গে দেশটির ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে ইরান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তেল আমদানি করে চীন। এ কারণে কোন অবস্থানে যাবে, তা নিয়ে ভাবনায় পড়ে যাবে বেইজিং।

তবে এই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় সরাসরি তেহরানের সমালোচনা করেছে আমেরিকা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিন দেশে হামলা চালিয়ে ওসব দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি তাদের। বর্তমানে দেশটি লোহিত সাগরে হুতিদের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। হুতিদের বিভিন্ন সহায়তা দেয় ইরান।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, এই এলাকায় সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে ইরান। উল্টো তারাই সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের কথা বলছে।

ইরান ও পাকিস্তানের একে অপরের হামলা তাদের নিজস্ব ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার এমনটি জানানো হয়।

বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘এটা ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিষয়। এ নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাসবাদের প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্সের আপসহীন অবস্থান রয়েছে।’

জইশ আল-আদলকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ইরান। এ সংগঠনটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা সম্প্রতি ইরানে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরান–পাকিস্তানের হামলা, চীন–আমেরিকা কে কার পাশে

আপডেট সময় : ০৫:২৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের মধ্যেই এবার উত্তেজনা শুরু হলো ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে। একে অপরের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে দেশ দুটো। সেসব হামলার কারণও জানানো হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও আসছে প্রতিক্রিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে হামলা চালায় ইরান। তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জইশ আল-আদল নামে এক ‘সন্ত্রাসবাদী’ গোষ্ঠীর দুটি ঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে দুই শিশু নিহত ও তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এর জেরে পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক হামলায় ইরানে ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪ শিশু ও তিনজন নারী রয়েছেন।

দুই দেশের মধ্যকার এই পাল্টাপাল্টি হামলার কারণে অন্তত ১১ জন মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে এক সংকটের পর এবার আরেক সংকট শুরু হলো। পাকিস্তান ছাড়াও ইরাক ও সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান।

এ নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। প্রাথমিকভাবে কোনো দেশকেই পক্ষ নিতে দেখা যায়নি। উভয়পক্ষ থেকেই সংযম আশা করছে চীন। দেশটি এখন পর্যন্ত কারও পক্ষ নেয়নি।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষকেই বলব শান্ত থাকতে, কোনো উত্তেজনা তৈরি না করতে। এই অঞ্চলে দুই পক্ষই যেন শান্তি বজায় রাখে।’

ইরান–পাকিস্তান ইস্যু আরও বড় আকার ধারণ করলে ঝামেলায় পড়তে হবে চীনকে। পাকিস্তানের সঙ্গে দেশটির ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে ইরান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তেল আমদানি করে চীন। এ কারণে কোন অবস্থানে যাবে, তা নিয়ে ভাবনায় পড়ে যাবে বেইজিং।

তবে এই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় সরাসরি তেহরানের সমালোচনা করেছে আমেরিকা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিন দেশে হামলা চালিয়ে ওসব দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি তাদের। বর্তমানে দেশটি লোহিত সাগরে হুতিদের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। হুতিদের বিভিন্ন সহায়তা দেয় ইরান।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, এই এলাকায় সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে ইরান। উল্টো তারাই সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের কথা বলছে।

ইরান ও পাকিস্তানের একে অপরের হামলা তাদের নিজস্ব ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার এমনটি জানানো হয়।

বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘এটা ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিষয়। এ নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাসবাদের প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্সের আপসহীন অবস্থান রয়েছে।’

জইশ আল-আদলকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ইরান। এ সংগঠনটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা সম্প্রতি ইরানে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।