ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কোটার ৫৮ শতাংশ বাংলাদেশিই যাচ্ছেন না হজে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনের তৃতীয় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও সাড়া মেলেনি হজযাত্রীদের। নিবন্ধনের তৃতীয় দফার সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়।

নিবন্ধনের সময় তিন দফা বাড়িয়েও চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। এতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ৫৩ হাজার ১১৫ জন। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ৮৩ জনের।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজের নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। যারা নিবন্ধন করেছে তাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে বাসা ভাড়াসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমরা কাজ শুরু করব। তবে আর সময় বাড়ছে না বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, বাংলাদেশে থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার অনুমতি থাকলেও বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫৩ হাজার ১১৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৮০২ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ হাজার ৩১৩ জন। সেই অনুযায়ী, কোটার ৪২ শতাংশ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনো ৭৪ হাজার ৮৩ জন নিবন্ধন করেননি। অর্থাৎ, কোটার ৫৮ শতাংশ খালি রয়েছে।

হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করায় সাধারণ হজযাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এ কারণে নিবন্ধনে সাড়া মিলছে না বলে মনে করছেন অনেকে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। যদিও গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ১ লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে, তবুও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজে যেতে আগ্রহীরা।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, হজের নিবন্ধন শেষ হলেও তা আর বাড়ানো হবে না। সামনের সপ্তাহে আমারা সৌদি আরবকে হজযাত্রীর সংখ্যা জানিয়ে দেব। ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া মিনায় জায়গা করে ফেলেছে। আমরাই একমাত্র দেশ যারা এখনো হজযাত্রীদের সংখ্যা জানাতে পারিনি। জায়গা না পেলে পরে সবাই গালাগালি করবে, সরকার আমাদের দূরে রেখেছে, কষ্ট দিয়েছে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটার ৫৮ শতাংশ বাংলাদেশিই যাচ্ছেন না হজে

আপডেট সময় : ১০:৩৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

চলতি মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনের তৃতীয় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও সাড়া মেলেনি হজযাত্রীদের। নিবন্ধনের তৃতীয় দফার সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়।

নিবন্ধনের সময় তিন দফা বাড়িয়েও চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। এতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ৫৩ হাজার ১১৫ জন। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ৮৩ জনের।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজের নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। যারা নিবন্ধন করেছে তাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে বাসা ভাড়াসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমরা কাজ শুরু করব। তবে আর সময় বাড়ছে না বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, বাংলাদেশে থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার অনুমতি থাকলেও বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫৩ হাজার ১১৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৮০২ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ হাজার ৩১৩ জন। সেই অনুযায়ী, কোটার ৪২ শতাংশ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনো ৭৪ হাজার ৮৩ জন নিবন্ধন করেননি। অর্থাৎ, কোটার ৫৮ শতাংশ খালি রয়েছে।

হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করায় সাধারণ হজযাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এ কারণে নিবন্ধনে সাড়া মিলছে না বলে মনে করছেন অনেকে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। যদিও গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ১ লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে, তবুও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজে যেতে আগ্রহীরা।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, হজের নিবন্ধন শেষ হলেও তা আর বাড়ানো হবে না। সামনের সপ্তাহে আমারা সৌদি আরবকে হজযাত্রীর সংখ্যা জানিয়ে দেব। ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া মিনায় জায়গা করে ফেলেছে। আমরাই একমাত্র দেশ যারা এখনো হজযাত্রীদের সংখ্যা জানাতে পারিনি। জায়গা না পেলে পরে সবাই গালাগালি করবে, সরকার আমাদের দূরে রেখেছে, কষ্ট দিয়েছে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।