দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ চরম কষ্টে দিন পার করছে : রিজভী
- আপডেট সময় : ১০:১১:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ চরম কষ্টে দিন পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দেশে চারদিকে হাহাকার। দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আওয়ামী সিন্ডিকেট কবলিত দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন দেশের মানুষ। ধার-দেনায়ও সংসার চালাতে পারছেন না।
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ডামি সরকার বিএনপিকে পরাজিত করতে যেয়ে বাংলাদেশকে পরাজিত করে ফেলেছে। জনগণের কথা শোনার কেউ নেই। চারিদিকে হাহাকার।’
রিজভী বলেন, দেশে দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে। সরকারের শপথে পরদিনই চালের দাম আবারো বাড়তে শুরু করেছে। ভরা মৌসুমেও সব্জির দাম চড়া।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মুখে এক অন্তরে অন্তরে অন্যকিছৃ। এখনো প্রতিদিন বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিদেশীদের অভিনন্দনের নামে সরকার অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারির ভোট শুধু দেশের জনগণ নয়, সকল গণতান্ত্রিক বিশ্বেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
বাজারদরের ভয়াবহ অবস্থা বলে দাবি বিএনপির এই নেতা বলেন, সম্ভবত ডামি ভোট বর্জনের কারণে জনগণকে শায়েস্তা করতে দেশের মানুষকে মুনাফাখোর, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে নতুন করে সমর্পণ করেছে। ডামি সরকারের শপথের পরদিনই চালসহ কিছু নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করা অভিসন্ধি প্রসূত। ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজির দাম বেড়ে তিন গুণ হয়েছে। প্রতিদিন কোনও না কোনও পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। প্রতি কেজি চালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।
খাদ্যমন্ত্রীকে চাল মিলের মালিক বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, খাদ্যমন্ত্রী চাল সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, চালের দাম সর্বোচ্চ ৬ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ৫ দিন আগে খাদ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন চার দিনের মধ্যে চালের দাম কমিয়ে আনতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বাস্তবতা হলো—কোনও চেষ্টায় কাজ হবে না।
‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীদের মুক্তি, সকল মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং অবৈধ সংসদ বাতিলসহ একদফা আদায়ের লক্ষ্যে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি।’
রিজিভী বলেন, আগামী শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সব জেলা শহর এবং শনিবার (২৭ জানুয়ারি) মহানগরে কালো পতাকা মিছিল করা হবে।