ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুদ্ধে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজা উপত্যকাকে অবরুদ্ধ করে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

বার্তা সংস্থা এপি বলছে, তবে ইসরায়েলি হামলায় দমে যায়নি হামাস। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে সশস্ত্র সংগঠনটি। তাদের ভাণ্ডারে রয়েছে ইরান, চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও বুলগেরিয়ার তৈরি বিভিন্ন সমরাস্ত্র।

গত তিন মাসের যুদ্ধের ১৫০টির বেশি ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সংগ্রহ করেছে হামাস। বার্তা সংস্থা এপি বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে হামাসের ব্যবহার করা সবচেয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র হচ্ছে ইরানের তৈরি এএম-৫০ সায়্যাদ স্নাইপার রাইফেল। এটি দেয়াল ভেদ করেও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

পশ্চিমা সমর বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানের স্নাইপার রাইফেল, চীন এবং রাশিয়ার একে–৪৭ রাইফেল, উত্তর কোরিয়া এবং বুলগেরিয়ার নির্মিত রকেটচালিত গ্রেনেড এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট হামাসের কাছে রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার আরমামেন্ট রিসার্চ সার্ভিসেসের পরিচালক এন আর জেনজেন-জোনস বলেছেন, হামাসের ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হওয়ার ঘটনায় অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমরা জানি হামাসের কাছে প্রচুর অস্ত্র মজুত আছে এবং তারা নিজেরাও অস্ত্র উৎপাদন করছে। এটাও আমরা জানি যে, বাইরের কিছু দেশ গাজায় অস্ত্র পাঠিয়েছে।

জেনজেন–জোনস বলেছেন, হামাসের অস্ত্রের বেশিরভাগই রাশিয়া, চীন বা ইরানের তৈরি। তবে হামাসের অস্ত্রাগারে উত্তর কোরিয়া এবং সাবেক ওয়ারশভুক্ত দেশগুলোতে উত্পাদিত অস্ত্রও রয়েছে।

হামাসের মুখপাত্র গাজি হামাদ সম্প্রতি এপি’র সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘আমরা অস্ত্র, রাজনৈতিক সমর্থন এবং অর্থের জন্য সব জায়গায় অনুসন্ধান করছি।’ তবে কে বা কারা তাদের অস্ত্র সরবরাহ করছে, এ ব্যাপারে জানাতে রাজি হননি তিনি।

এদিকে গাজায় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে এপি জানতে চাইলে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ইরান সরকার।

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস–ইসরায়েল সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও এখনও এ সংঘাত শেষ হয়নি। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা উপত্যকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে হামাস

আপডেট সময় : ১০:৩৩:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজা উপত্যকাকে অবরুদ্ধ করে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

বার্তা সংস্থা এপি বলছে, তবে ইসরায়েলি হামলায় দমে যায়নি হামাস। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে সশস্ত্র সংগঠনটি। তাদের ভাণ্ডারে রয়েছে ইরান, চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও বুলগেরিয়ার তৈরি বিভিন্ন সমরাস্ত্র।

গত তিন মাসের যুদ্ধের ১৫০টির বেশি ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সংগ্রহ করেছে হামাস। বার্তা সংস্থা এপি বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে হামাসের ব্যবহার করা সবচেয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র হচ্ছে ইরানের তৈরি এএম-৫০ সায়্যাদ স্নাইপার রাইফেল। এটি দেয়াল ভেদ করেও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

পশ্চিমা সমর বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানের স্নাইপার রাইফেল, চীন এবং রাশিয়ার একে–৪৭ রাইফেল, উত্তর কোরিয়া এবং বুলগেরিয়ার নির্মিত রকেটচালিত গ্রেনেড এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট হামাসের কাছে রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার আরমামেন্ট রিসার্চ সার্ভিসেসের পরিচালক এন আর জেনজেন-জোনস বলেছেন, হামাসের ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হওয়ার ঘটনায় অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমরা জানি হামাসের কাছে প্রচুর অস্ত্র মজুত আছে এবং তারা নিজেরাও অস্ত্র উৎপাদন করছে। এটাও আমরা জানি যে, বাইরের কিছু দেশ গাজায় অস্ত্র পাঠিয়েছে।

জেনজেন–জোনস বলেছেন, হামাসের অস্ত্রের বেশিরভাগই রাশিয়া, চীন বা ইরানের তৈরি। তবে হামাসের অস্ত্রাগারে উত্তর কোরিয়া এবং সাবেক ওয়ারশভুক্ত দেশগুলোতে উত্পাদিত অস্ত্রও রয়েছে।

হামাসের মুখপাত্র গাজি হামাদ সম্প্রতি এপি’র সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘আমরা অস্ত্র, রাজনৈতিক সমর্থন এবং অর্থের জন্য সব জায়গায় অনুসন্ধান করছি।’ তবে কে বা কারা তাদের অস্ত্র সরবরাহ করছে, এ ব্যাপারে জানাতে রাজি হননি তিনি।

এদিকে গাজায় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে এপি জানতে চাইলে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ইরান সরকার।

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস–ইসরায়েল সংঘাতে এ পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও এখনও এ সংঘাত শেষ হয়নি। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা উপত্যকা।