ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উপজেলা নির্বাচনে নৌকা থাকছে না: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি। সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণভবনে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে রাতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি জানান, ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে দলের স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় চূড়ান্ত করা হবে। তবে ওয়ার্কিং কমিটির নেয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আমরা দলের প্রতীকের প্রার্থিতা দেব কি না… এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির প্রায় সর্বসম্মত যে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকা ব্যবহার করা হবে না। নৌকা না দেওয়ার জন্য ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এখন অভিমত পেশ করেছে। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার অভিমতের সাথে তিনি ভিন্নমত প্রকাশ করেন না।

তিনি বলেন, যেহেতু সবাই এখানে একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। আপাতত এটা ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত। ওয়ার্কিং কমিটি যেটা সিদ্ধান্ত নেয়, মনোনয়ন বোর্ড সেই সিদ্ধান্ত বহাল করে। এটা মনোনয়ন বোর্ডের আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতার আগে বিষয়টি নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থী সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে মনোমালিন্য… কিছু কিছু জায়গায় তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। তা দূর করতে আমাদের দলের যে আটটি বিভাগীয় কমিটি রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের বলে ঢাকায় ডেকে এনে তা সমাধানের কথা বলা হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিডিউল ঘোষণার পর দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। সভায় বিশ্ব পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেই নির্বাচনটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উন্মুক্ত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিয়ে ঢাকা পোস্টকে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।

এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনযোগ্য হয়েছে ৪৮৫ উপজেলা পরিষদ। এর তালিকা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এজন্য ইসি সচিবালয়ও প্রস্তুত রয়েছে।

স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ এ বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুটি ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ ও সংরক্ষিত) পদের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।

আইনটি পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয় উপজেলায়। তারপর থেকে সকল স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে। তবে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই সময়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো দলীয় প্রার্থী রাখা হয়নি। তবে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকেই নির্বাচন করেছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

উপজেলা নির্বাচনে নৌকা থাকছে না: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি। সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণভবনে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে রাতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি জানান, ওয়ার্কিং কমিটির এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে দলের স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় চূড়ান্ত করা হবে। তবে ওয়ার্কিং কমিটির নেয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আমরা দলের প্রতীকের প্রার্থিতা দেব কি না… এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির প্রায় সর্বসম্মত যে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকা ব্যবহার করা হবে না। নৌকা না দেওয়ার জন্য ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এখন অভিমত পেশ করেছে। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার অভিমতের সাথে তিনি ভিন্নমত প্রকাশ করেন না।

তিনি বলেন, যেহেতু সবাই এখানে একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। আপাতত এটা ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত। ওয়ার্কিং কমিটি যেটা সিদ্ধান্ত নেয়, মনোনয়ন বোর্ড সেই সিদ্ধান্ত বহাল করে। এটা মনোনয়ন বোর্ডের আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতার আগে বিষয়টি নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থী সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে মনোমালিন্য… কিছু কিছু জায়গায় তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। তা দূর করতে আমাদের দলের যে আটটি বিভাগীয় কমিটি রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের বলে ঢাকায় ডেকে এনে তা সমাধানের কথা বলা হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিডিউল ঘোষণার পর দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। সভায় বিশ্ব পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেই নির্বাচনটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উন্মুক্ত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিয়ে ঢাকা পোস্টকে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।

এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনযোগ্য হয়েছে ৪৮৫ উপজেলা পরিষদ। এর তালিকা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এজন্য ইসি সচিবালয়ও প্রস্তুত রয়েছে।

স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ এ বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুটি ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ ও সংরক্ষিত) পদের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।

আইনটি পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয় উপজেলায়। তারপর থেকে সকল স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে। তবে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই সময়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো দলীয় প্রার্থী রাখা হয়নি। তবে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকেই নির্বাচন করেছিল।