০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলায় নৌকা না রাখা সরকারের আরেকটি পরাজয়: মঈন খান

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক ব্যবহার থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত সরকারের আরও একটি পরাজয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিন বলেন, বিএনপি রাজপথে নেমেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে। আওয়ামী লীগের কারণে গণতন্ত্র আজ মৃত। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় বাকশাল গঠন করে মানুষের অধিকার হরণ করেছে।

আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘খবর প্রকাশিত হয়েছে আগামী কিছুদিন পরে স্থানীয় সরকারের যে নির্বাচন, সেখানে আওয়ামী লীগ নাকি নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবে না। তারা নিজেরা পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে, নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়ে দিয়েছে। এটা কী তাদের আত্মস্বীকৃত পরাজয় নয়?’

আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মকর্তা স্বাধীনতার আদর্শের বিরোধী। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষে নাভিশ্বাস উঠেছে। বিএনপি যে প্রতিবাদ করছে তা হবে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ।

আজ মঙ্গলবার (২৩ শে জানুয়ারি) জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

মঈন খান বলেন, ‘মুখে যত হুমকি-ধামকি ও লাফালাফি করুক, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের মানুষ নৌকা প্রত্যাখান করেছে। সে কারণে উপজেলা নির্বাচনে তারা নিজেরাই নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়েছে।’

তড়িঘড়ি করে আওয়ামী লীগ শপথ নিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘কি করেছে দেশে, বর্তমানে ৬ শতাধিক সংসদ সদস্য করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ নাকি সংবিধানে বিশ্বাস করে। সংবিধানের কোথায় লেখা আছে তিনশ আসনের বিপরীতে ছয়শ সংসদ সদস্য থাকবে। আসলে আওয়ামী লীগের কোনো সংবিধান প্রীতি নেই, তাদের একটা প্রীতি আছে সেটা হচ্ছে ক্ষমতা, অর্থবিত্তের। মুখে তারা যে সংবিধান প্রীতির কথা বলে, সেটা ভুয়া।’

অন্যদিকে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেও সফল হয়নি সরকার, বিএনপির নেতাকর্মীরা হারেনি। জনগণ জেগে উঠেছে তবে বাঁধ সেধেছে পুলিশ বাহিনী।

জীবন মরণ লড়াই করা হবে এরপরও আওয়ামী লীগকে বাকশাল কায়েম করতে দেয়া হবে না। নেতাকর্মীরা হতাশ নয়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ধমকে বিএনপি ভয় পায় না। অভিনব কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। অচিরেই জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হকের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদিন ফারুক।

উপজেলায় নৌকা না রাখা সরকারের আরেকটি পরাজয়: মঈন খান

আপডেট : ০৮:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক ব্যবহার থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত সরকারের আরও একটি পরাজয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিন বলেন, বিএনপি রাজপথে নেমেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে। আওয়ামী লীগের কারণে গণতন্ত্র আজ মৃত। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় বাকশাল গঠন করে মানুষের অধিকার হরণ করেছে।

আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘খবর প্রকাশিত হয়েছে আগামী কিছুদিন পরে স্থানীয় সরকারের যে নির্বাচন, সেখানে আওয়ামী লীগ নাকি নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবে না। তারা নিজেরা পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে, নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়ে দিয়েছে। এটা কী তাদের আত্মস্বীকৃত পরাজয় নয়?’

আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মকর্তা স্বাধীনতার আদর্শের বিরোধী। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষে নাভিশ্বাস উঠেছে। বিএনপি যে প্রতিবাদ করছে তা হবে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ।

আজ মঙ্গলবার (২৩ শে জানুয়ারি) জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

মঈন খান বলেন, ‘মুখে যত হুমকি-ধামকি ও লাফালাফি করুক, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের মানুষ নৌকা প্রত্যাখান করেছে। সে কারণে উপজেলা নির্বাচনে তারা নিজেরাই নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়েছে।’

তড়িঘড়ি করে আওয়ামী লীগ শপথ নিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘কি করেছে দেশে, বর্তমানে ৬ শতাধিক সংসদ সদস্য করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ নাকি সংবিধানে বিশ্বাস করে। সংবিধানের কোথায় লেখা আছে তিনশ আসনের বিপরীতে ছয়শ সংসদ সদস্য থাকবে। আসলে আওয়ামী লীগের কোনো সংবিধান প্রীতি নেই, তাদের একটা প্রীতি আছে সেটা হচ্ছে ক্ষমতা, অর্থবিত্তের। মুখে তারা যে সংবিধান প্রীতির কথা বলে, সেটা ভুয়া।’

অন্যদিকে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেও সফল হয়নি সরকার, বিএনপির নেতাকর্মীরা হারেনি। জনগণ জেগে উঠেছে তবে বাঁধ সেধেছে পুলিশ বাহিনী।

জীবন মরণ লড়াই করা হবে এরপরও আওয়ামী লীগকে বাকশাল কায়েম করতে দেয়া হবে না। নেতাকর্মীরা হতাশ নয়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ধমকে বিএনপি ভয় পায় না। অভিনব কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। অচিরেই জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হকের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদিন ফারুক।