ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

সেই বিজিবি সদস্যের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা জেলেপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

ভারতের গাঙ্গুলিয়া পাড়া সীমান্ত দিয়ে আজ বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক ও সহকারী পরিচালক মাসুদ রানার কাছে রইশুদ্দীনের মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ।

বিজিবি জানিয়েছে, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শিকারপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার ২৮ এস এর কাছে গাঙ্গুলিয়াপাড়া দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। অ্যাম্বুলেন্সে রইশুদ্দীনের মরদেহ যশোর ব্যাটালিয়ান সদরে নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে রইশুদ্দীনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।

এর আগে গত সোমবার ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীন মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনার ব্যাখ্যা দেয় বিজিবি।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, গত সোমবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসছিল। এ সময় দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাঁদের চ্যালেঞ্জ করলে তাঁরা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান।

প্রাথমিকভাবে রইশুদ্দীনকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈনিক রইশুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়াও মরদেহ বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে সব পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেই বিজিবি সদস্যের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

আপডেট সময় : ০৮:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা জেলেপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

ভারতের গাঙ্গুলিয়া পাড়া সীমান্ত দিয়ে আজ বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক ও সহকারী পরিচালক মাসুদ রানার কাছে রইশুদ্দীনের মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ।

বিজিবি জানিয়েছে, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শিকারপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার ২৮ এস এর কাছে গাঙ্গুলিয়াপাড়া দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। অ্যাম্বুলেন্সে রইশুদ্দীনের মরদেহ যশোর ব্যাটালিয়ান সদরে নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে রইশুদ্দীনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।

এর আগে গত সোমবার ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীন মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনার ব্যাখ্যা দেয় বিজিবি।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, গত সোমবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসছিল। এ সময় দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাঁদের চ্যালেঞ্জ করলে তাঁরা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান।

প্রাথমিকভাবে রইশুদ্দীনকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈনিক রইশুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়াও মরদেহ বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে সব পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।