০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে এরদোয়ান-রাইসির নতুন সিদ্ধান্ত

মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতাবস্থার প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে এমন যেকোনো পদক্ষেপ এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে তুরস্ক ও ইরান। তুরস্কে সফররত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বৈঠক শেষে আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এমন মন্তব্য করেছেন এই দুই প্রভাবশালী সরকারপ্রধান। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা বন্ধেও আলোচনা করেন তারা। সেই সঙ্গে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরত্ব দিয়ে আলোচনা করেন তারা। খবর আল জাজিরা।

এর আগে, দুইবার স্থগিত হওয়ার পর গতকাল বুধবার তুরস্ক সফরে যান ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এসময় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিনের এই সফরে ইব্রাহিম রাইসি একটি উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। আঙ্কারায় এরদোয়ানের নেতৃত্বে তুরস্কের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের আঞ্চলিক পরিণতি নিয়ে আলোচনা করেন।

গাজা যুদ্ধের শুরুর পর থেকে কয়েকবার ইরানের প্রেসিডেন্টের তুরস্ক সফরের কথা ছিল। তবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উত্তেজনার কারণে দুইবার তার এই সফর স্থগিত হয়ে যায়। গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবার এবং চলতি মাসের শুরুতে দ্বিতীয়বার তার সফরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুইবারই তা স্থগিত করা হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইসরায়েল বারবারই দাবি করছে, ইরান অস্ত্র দিয়ে হামাসকে সাহায্য করছে। তবে ইরান সবসময়ই তেল আবিবের এ দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যেই সিরিয়া ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে ইরানের সহযোগী সংগঠনের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী। এতে ইরানের নিরাপত্তাবাহিনীর আইআরজিসির বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন। এতে করে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে রয়েছে।

অন্যদিকে, তুরস্ক এ যুদ্ধের শুরু থেকেই তা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে। ৭ অক্টোবরের গাজা যুদ্ধ বন্ধে যে কজন শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাদের অন্যতম।

মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে এরদোয়ান-রাইসির নতুন সিদ্ধান্ত

আপডেট : ০৯:২৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতাবস্থার প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে এমন যেকোনো পদক্ষেপ এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে তুরস্ক ও ইরান। তুরস্কে সফররত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বৈঠক শেষে আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এমন মন্তব্য করেছেন এই দুই প্রভাবশালী সরকারপ্রধান। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা বন্ধেও আলোচনা করেন তারা। সেই সঙ্গে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরত্ব দিয়ে আলোচনা করেন তারা। খবর আল জাজিরা।

এর আগে, দুইবার স্থগিত হওয়ার পর গতকাল বুধবার তুরস্ক সফরে যান ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এসময় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিনের এই সফরে ইব্রাহিম রাইসি একটি উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। আঙ্কারায় এরদোয়ানের নেতৃত্বে তুরস্কের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের আঞ্চলিক পরিণতি নিয়ে আলোচনা করেন।

গাজা যুদ্ধের শুরুর পর থেকে কয়েকবার ইরানের প্রেসিডেন্টের তুরস্ক সফরের কথা ছিল। তবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উত্তেজনার কারণে দুইবার তার এই সফর স্থগিত হয়ে যায়। গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবার এবং চলতি মাসের শুরুতে দ্বিতীয়বার তার সফরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুইবারই তা স্থগিত করা হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইসরায়েল বারবারই দাবি করছে, ইরান অস্ত্র দিয়ে হামাসকে সাহায্য করছে। তবে ইরান সবসময়ই তেল আবিবের এ দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যেই সিরিয়া ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে ইরানের সহযোগী সংগঠনের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী। এতে ইরানের নিরাপত্তাবাহিনীর আইআরজিসির বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন। এতে করে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে রয়েছে।

অন্যদিকে, তুরস্ক এ যুদ্ধের শুরু থেকেই তা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে। ৭ অক্টোবরের গাজা যুদ্ধ বন্ধে যে কজন শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাদের অন্যতম।