১২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোমবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে। জেলা দুটিতে বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। টানা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে নাজেহাল জনজীবন। ফেব্রুয়ারিতে কমে আসবে শীতের প্রকোপ। আর চলমান শৈত্যপ্রবাহটিই মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলেও আস্বস্ত করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

আজ রোববার ভোর ৬টায় পঞ্চগড় ও দিনাজপুর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্চগড়ে গত শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মাঘের শীতে বিপর্যস্ত রাজধানীসহ সারা দেশ। কুয়াশা আর হিমেল হওয়ায় বেড়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকার মধ্যেও সুখবর দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

সংস্থাটি বলছে, সোমবার থেকেই বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার খুলনা ও বরিশাল বিভাগে হতে পারে হালকা বৃষ্টি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রোববার দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরবিহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।

কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ পঞ্চগড়ের আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ডের কথা জানিয়ে বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসে পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। আজ রোববার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি শীত মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ঘনকুয়াশার কারণে সকাল-দুপুরেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে চরম দূর্ভোগ পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। কৃষি উৎপাদনের পড়েছে বিরূপ প্রভাব। বিবর্ণ হচ্ছে বোরো বীজ তলা, নষ্ট হচ্ছে আলুর খেত।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন জানিয়েছেন, আজ রোববার ভোর ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থা আরও দুএকদিন থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী সোমবার থেকেই বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার খুলনা ও বরিশাল বিভাগে হতে পারে হালকা বৃষ্টি। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে কমে আসবে শীতের প্রকোপ। আর চলমান শৈত্যপ্রবাহটিই মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলেও আস্বস্ত করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বেড়েই চলেছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানিসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ।

টানা শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দিনাজপুর। কনকনে ঠান্ডায় দিনাজপুরে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। চলিত মৌসুমে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।

সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

এদিকে তীব্র শীত ও টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। মৌসুমি শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জেলায় বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ রোববার সকাল ৬টায় জেলায় চলিত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

চলমান শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জয়পুরহাটের বন্ধ থাকা মাধ্যমিক বিদ্যলয়গুলো আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) থেকে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান আরও একদিন বন্ধ থাকবে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববারও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকতে পারে। এ অবস্থায় রোববার জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে।

সোমবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

আপডেট : ০৩:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে। জেলা দুটিতে বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। টানা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে নাজেহাল জনজীবন। ফেব্রুয়ারিতে কমে আসবে শীতের প্রকোপ। আর চলমান শৈত্যপ্রবাহটিই মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলেও আস্বস্ত করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

আজ রোববার ভোর ৬টায় পঞ্চগড় ও দিনাজপুর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্চগড়ে গত শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মাঘের শীতে বিপর্যস্ত রাজধানীসহ সারা দেশ। কুয়াশা আর হিমেল হওয়ায় বেড়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকার মধ্যেও সুখবর দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

সংস্থাটি বলছে, সোমবার থেকেই বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার খুলনা ও বরিশাল বিভাগে হতে পারে হালকা বৃষ্টি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রোববার দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরবিহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।

কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ পঞ্চগড়ের আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ডের কথা জানিয়ে বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসে পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। আজ রোববার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি শীত মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ঘনকুয়াশার কারণে সকাল-দুপুরেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে চরম দূর্ভোগ পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। কৃষি উৎপাদনের পড়েছে বিরূপ প্রভাব। বিবর্ণ হচ্ছে বোরো বীজ তলা, নষ্ট হচ্ছে আলুর খেত।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন জানিয়েছেন, আজ রোববার ভোর ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থা আরও দুএকদিন থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী সোমবার থেকেই বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার খুলনা ও বরিশাল বিভাগে হতে পারে হালকা বৃষ্টি। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে কমে আসবে শীতের প্রকোপ। আর চলমান শৈত্যপ্রবাহটিই মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলেও আস্বস্ত করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বেড়েই চলেছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানিসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ।

টানা শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দিনাজপুর। কনকনে ঠান্ডায় দিনাজপুরে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। চলিত মৌসুমে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।

সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

এদিকে তীব্র শীত ও টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। মৌসুমি শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জেলায় বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ রোববার সকাল ৬টায় জেলায় চলিত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

চলমান শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জয়পুরহাটের বন্ধ থাকা মাধ্যমিক বিদ্যলয়গুলো আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) থেকে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান আরও একদিন বন্ধ থাকবে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববারও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকতে পারে। এ অবস্থায় রোববার জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে।