০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জি এম কাদেরই হলেন বিরোধী দলীয় নেতা, উপনেতা আনিসুল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল কারা হবে সেই প্রশ্নের অবসান ঘটল। এবারের সংসদে ১১টি আসন পাওয়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। আর বিরোধী দলের উপনেতা মনোনিত করা হয়েছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। রোববার এ সংক্রান্ত একটি গ্যাজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জি এম কাদের রংপুর ৩ আসন থেকে আর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম–৫ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

গেজেটে বলা হয়েছে, সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে ‘বিরোধী দলীয় নেতা’ এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- ‘স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসঙ্ঘের নেতা। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালীর বিধির (২)–১ মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রী ও উপনেতা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান। বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশে তাদের সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করা রয়েছে। সংসদ ভবনে তাদের কার্যালয়ও রয়েছে।

এর আগে জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে এ সভায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে বিরোধী দলীয় হুইপ মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এবারের নির্বাচনে ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা।

গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং এক সময় বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে।

সাধারণ ধারণা হল, আসন সংখ্যায় সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল যাকে নেতা নির্বাচিত করবে, তিনিই বিরোধীদলীয় নেতার আসন পাবেন। তার দলই হবে সংসদের প্রধান বিরোধী দল। গত দুটি নির্বাচনের মত এবারও দলীয়ভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। সে কারণে তারা দাবি করছে, দ্বাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দল তারাই।

কিন্তু তাদের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ আসনে দলনিরপেক্ষ প্রার্থীরা জিতে আসায় এবার আলোচনা ঘুরে যায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলে যদি কোনো রাজনৈতিক জোট গঠন করতে পারত তাহলে তাদের মধ্য থেকেই বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা মনোনয়ন দেওয়া হত। এখনও পর্যন্ত স্বতন্ত্র নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কোনো জোট গঠন করতে পারেন নি।

আগামী ৩০ জানুয়ারি বসছে দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন।

জি এম কাদেরই হলেন বিরোধী দলীয় নেতা, উপনেতা আনিসুল

আপডেট : ০৫:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রোববার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল কারা হবে সেই প্রশ্নের অবসান ঘটল। এবারের সংসদে ১১টি আসন পাওয়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। আর বিরোধী দলের উপনেতা মনোনিত করা হয়েছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। রোববার এ সংক্রান্ত একটি গ্যাজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জি এম কাদের রংপুর ৩ আসন থেকে আর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম–৫ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

গেজেটে বলা হয়েছে, সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে ‘বিরোধী দলীয় নেতা’ এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- ‘স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসঙ্ঘের নেতা। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালীর বিধির (২)–১ মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রী ও উপনেতা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান। বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশে তাদের সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করা রয়েছে। সংসদ ভবনে তাদের কার্যালয়ও রয়েছে।

এর আগে জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে এ সভায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দিন আহম্মেদকে বিরোধী দলীয় হুইপ মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এবারের নির্বাচনে ২২৩টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা।

গত দুই সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত ১১ আসনে জয় পেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং এক সময় বিএনপির জোটে থাকা কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে।

সাধারণ ধারণা হল, আসন সংখ্যায় সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল যাকে নেতা নির্বাচিত করবে, তিনিই বিরোধীদলীয় নেতার আসন পাবেন। তার দলই হবে সংসদের প্রধান বিরোধী দল। গত দুটি নির্বাচনের মত এবারও দলীয়ভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। সে কারণে তারা দাবি করছে, দ্বাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দল তারাই।

কিন্তু তাদের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ আসনে দলনিরপেক্ষ প্রার্থীরা জিতে আসায় এবার আলোচনা ঘুরে যায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলে যদি কোনো রাজনৈতিক জোট গঠন করতে পারত তাহলে তাদের মধ্য থেকেই বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা মনোনয়ন দেওয়া হত। এখনও পর্যন্ত স্বতন্ত্র নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কোনো জোট গঠন করতে পারেন নি।

আগামী ৩০ জানুয়ারি বসছে দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন।