০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে গোলাগুলি, আতংকে সীমান্তবাসী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৮:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৬৭ দেখেছেন

মিয়ানমারে ২৪ ঘণ্টা গোলাগুলি ও মর্টারের বিকট শব্দে আতংকে আছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। সীমান্ত জুড়ে চলছে বিজিবির টহল। এখনো পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলেছে তারা। স্থানীয়দের শান্ত থাকার অভয় দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পর পর বেশ কয়েকটি মর্টারসেলের বিকট শব্দ শোনা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে গত শনিবার টেকনাফের সীমান্তবর্তী এক বাড়ির দেয়ালে গুলি লেগেছে। এরপর থেকে এলাকাবাসীদের মধ্যে ভয় আরও বেড়েছে। সীমান্তের ওপারে গত কয়েকদিনে সংঘর্ষ বাড়ায় ও উত্তেজনা তৈরির হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার কথা বলা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া, তুলাতুলি ও কাঞ্জরপাড়া সীমান্ত, উখিয়া উপজেলার পালংখালির আনজুমান পাড়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা তুমব্রু ও ঘুমধুম এলাকায় বেশি গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।

মিয়ানমারে আরাকান স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর সাথে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান সংঘাতের কারণে এই সংকটময় পরিস্থিতি। এতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রিজু, আমতলী, আশাতলীসহ কয়েকটি এলাকায় আতঙ্কিত কয়েক হাজার পরিবার।

এদিকে, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে দেশটির অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে। তাই লোকজনের চলাচলে সতর্ক থাকতে বলঅ হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অগাস্টের শেষ ও সেপ্টেম্বরের শুরুতে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে বাংলাদেশের সীমানার ভেতর গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। অনেক মানুষ আতঙ্কে সীমান্ত ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। তখন দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এর প্রতিবাদ, নিন্দা ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল ঢাকা।

মিয়ানমারে গোলাগুলি, আতংকে সীমান্তবাসী

আপডেট : ০৮:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারে ২৪ ঘণ্টা গোলাগুলি ও মর্টারের বিকট শব্দে আতংকে আছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। সীমান্ত জুড়ে চলছে বিজিবির টহল। এখনো পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলেছে তারা। স্থানীয়দের শান্ত থাকার অভয় দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পর পর বেশ কয়েকটি মর্টারসেলের বিকট শব্দ শোনা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে গত শনিবার টেকনাফের সীমান্তবর্তী এক বাড়ির দেয়ালে গুলি লেগেছে। এরপর থেকে এলাকাবাসীদের মধ্যে ভয় আরও বেড়েছে। সীমান্তের ওপারে গত কয়েকদিনে সংঘর্ষ বাড়ায় ও উত্তেজনা তৈরির হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার কথা বলা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া, তুলাতুলি ও কাঞ্জরপাড়া সীমান্ত, উখিয়া উপজেলার পালংখালির আনজুমান পাড়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা তুমব্রু ও ঘুমধুম এলাকায় বেশি গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।

মিয়ানমারে আরাকান স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর সাথে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান সংঘাতের কারণে এই সংকটময় পরিস্থিতি। এতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রিজু, আমতলী, আশাতলীসহ কয়েকটি এলাকায় আতঙ্কিত কয়েক হাজার পরিবার।

এদিকে, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে দেশটির অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে। তাই লোকজনের চলাচলে সতর্ক থাকতে বলঅ হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অগাস্টের শেষ ও সেপ্টেম্বরের শুরুতে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে বাংলাদেশের সীমানার ভেতর গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। অনেক মানুষ আতঙ্কে সীমান্ত ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। তখন দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এর প্রতিবাদ, নিন্দা ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল ঢাকা।