ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে যেসব নির্দেশনা দিল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তাবলিগ জামাতের সর্ববৃহৎ জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য প্রতিবারের মত এবারও বিশেষ সেবা চালু ও জরুরী বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২-৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৯-১১ ফেব্রুয়ারি দুই পর্বে টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ইজতেমায় আগত সম্মানিত মুসল্লিগণকে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ মেনে চলতে বাংলাদেশ পুলিশ বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আজ মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মুসুল্লিদের উদ্দেশে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন এবং প্রয়োজনে সহযোগিতা নেবেন। নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করবেন এবং অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং কোনো পোটলা, ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি দেখামাত্র তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাবেন।

টাকা, মূল্যবান সামগ্রীসহ একা বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করবেন না এবং সবসময় টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী নিজ হেফাজতে রাখবেন। টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি বা হারিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাবেন।

হকার ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে খাদ্য বা পানীয় গ্রহণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির কবলে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, মুসল্লিদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে ইজতেমা চলাকালে প্রধান সড়কসমূহ ও পাশ্ববর্তী এলাকায় তাঁবু খাটাবেন না কিংবা অন্য কোনোভাবে সড়ক ও পাশ্ববর্তী এলাকা ব্যবহার করবেন না।

অসুস্থ হলে ইজতেমার জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল ও নিকটবর্তী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেবেন।

গুজব শুনলে বা কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে ধৈর্য্য ধরে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করবেন।

ট্রেনে নাশকতা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী থানা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানানোর আহ্বান করা হয়েছে।

রান্না করার সময় আগুন থেকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সর্তক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খিত্তা এলাকায় বা নিজেদের অবস্থানস্থলে ধূমপান করবেন না। খিত্তায় সবসময় পানি মজুত রাখবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ বলেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগরীর প্রগতি সরণি থেকে টঙ্গী ফ্লাইওভার পর্যন্ত, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ফ্লাইওভার থেকে চৌরাস্তা ও পাশ্ববর্তী এলাকার প্রধান সড়কের ৫০ গজের মধ্যে মাইক লাগাবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেনে কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চলাচল করবেন না।

জরুরি প্রয়োজনে যেসব নম্বরে যোগাযোগ করবেন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
উপপুলিশ কমিশনার, উত্তরা-০১৩২০-০৪১৭৪০, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)-০১৩২০-০৪১৭৪১, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণখান)-০১৩২০-০৪১৭৪২, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তরা)-০১৩২০-০৪১৭৪৩, সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)-০১৩২০-০৪১৭৫৪, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)-০১৩২০-০৪১৭৫৭, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন)-০১৩২০-০৪৩৯৫৫, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পূর্ব থানা-০১৩২০-০৪১৭৮৯, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা, পশ্চিম থানা–০১৩২০-০৪১৮১৭, অফিসার ইনচার্জ-তুরাগ থানা-০১৩২০-০৪১৮৪৫, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম-০১৭১১-০০০৯৯০।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ
উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)-০১৩২০-০৭০৩৩০, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)-০১৩২০-০৭০৬৪১, সহকারী পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন)-০১৩২০-০৭০৬৫৮, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পশ্চিম থানা-০১৩২০-০৭০৭৫১, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পশ্চিম থানা-০১৩২০-০৭০৭৫৯, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পূর্ব থানা-০১৩২০-০৭০৭২২, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা-০১৩২০-০৭০৭৩০, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা-০১৩২০-০৭০৭৩০, ইজতেমা কন্ট্রোল রুম (হটলাইন)-০১৩২০-০৭২৯৯৯, কন্ট্রোল রুম, জিএমপি-০১৩২০-০৭২৯৯৮, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম-০১৩২০-০৭১২৯৮।

র‌্যাব: র‌্যাব-১ কন্ট্রোল রুম-০১৭৭৭৭১০১৯৯, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্স কন্ট্রোল রুম-০১৭৭৭৭২০০২৯ এবং প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯—এ যোগাযোগ করতে আহ্বান করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে যেসব নির্দেশনা দিল পুলিশ

আপডেট সময় : ০৭:০২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

তাবলিগ জামাতের সর্ববৃহৎ জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য প্রতিবারের মত এবারও বিশেষ সেবা চালু ও জরুরী বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২-৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৯-১১ ফেব্রুয়ারি দুই পর্বে টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ইজতেমায় আগত সম্মানিত মুসল্লিগণকে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ মেনে চলতে বাংলাদেশ পুলিশ বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আজ মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মুসুল্লিদের উদ্দেশে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন এবং প্রয়োজনে সহযোগিতা নেবেন। নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করবেন এবং অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং কোনো পোটলা, ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি দেখামাত্র তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাবেন।

টাকা, মূল্যবান সামগ্রীসহ একা বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করবেন না এবং সবসময় টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী নিজ হেফাজতে রাখবেন। টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি বা হারিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাবেন।

হকার ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে খাদ্য বা পানীয় গ্রহণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির কবলে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, মুসল্লিদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে ইজতেমা চলাকালে প্রধান সড়কসমূহ ও পাশ্ববর্তী এলাকায় তাঁবু খাটাবেন না কিংবা অন্য কোনোভাবে সড়ক ও পাশ্ববর্তী এলাকা ব্যবহার করবেন না।

অসুস্থ হলে ইজতেমার জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল ও নিকটবর্তী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেবেন।

গুজব শুনলে বা কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে ধৈর্য্য ধরে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করবেন।

ট্রেনে নাশকতা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী থানা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানানোর আহ্বান করা হয়েছে।

রান্না করার সময় আগুন থেকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সর্তক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খিত্তা এলাকায় বা নিজেদের অবস্থানস্থলে ধূমপান করবেন না। খিত্তায় সবসময় পানি মজুত রাখবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ বলেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগরীর প্রগতি সরণি থেকে টঙ্গী ফ্লাইওভার পর্যন্ত, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ফ্লাইওভার থেকে চৌরাস্তা ও পাশ্ববর্তী এলাকার প্রধান সড়কের ৫০ গজের মধ্যে মাইক লাগাবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেনে কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চলাচল করবেন না।

জরুরি প্রয়োজনে যেসব নম্বরে যোগাযোগ করবেন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
উপপুলিশ কমিশনার, উত্তরা-০১৩২০-০৪১৭৪০, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)-০১৩২০-০৪১৭৪১, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণখান)-০১৩২০-০৪১৭৪২, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তরা)-০১৩২০-০৪১৭৪৩, সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)-০১৩২০-০৪১৭৫৪, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)-০১৩২০-০৪১৭৫৭, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন)-০১৩২০-০৪৩৯৫৫, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পূর্ব থানা-০১৩২০-০৪১৭৮৯, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা, পশ্চিম থানা–০১৩২০-০৪১৮১৭, অফিসার ইনচার্জ-তুরাগ থানা-০১৩২০-০৪১৮৪৫, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম-০১৭১১-০০০৯৯০।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ
উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)-০১৩২০-০৭০৩৩০, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)-০১৩২০-০৭০৬৪১, সহকারী পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন)-০১৩২০-০৭০৬৫৮, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পশ্চিম থানা-০১৩২০-০৭০৭৫১, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পশ্চিম থানা-০১৩২০-০৭০৭৫৯, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পূর্ব থানা-০১৩২০-০৭০৭২২, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা-০১৩২০-০৭০৭৩০, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা-০১৩২০-০৭০৭৩০, ইজতেমা কন্ট্রোল রুম (হটলাইন)-০১৩২০-০৭২৯৯৯, কন্ট্রোল রুম, জিএমপি-০১৩২০-০৭২৯৯৮, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম-০১৩২০-০৭১২৯৮।

র‌্যাব: র‌্যাব-১ কন্ট্রোল রুম-০১৭৭৭৭১০১৯৯, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্স কন্ট্রোল রুম-০১৭৭৭৭২০০২৯ এবং প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯—এ যোগাযোগ করতে আহ্বান করা হয়েছে।