বিদেশি বন্ধুরা বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে : ওবায়দুল কাদের
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণও বিএনপির সঙ্গে নেই, বিদেশি বন্ধুরা তাদের ছেড়ে চলে গেছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লম্বা চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষভাবে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পশ্চিমা বিশ্বসহ অনেক দেশ এরইমধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশে যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে, নির্বাচন প্রতিহত করতে নানা অপকর্ম চালিয়েছে। এতে কোনো সুফল আসেনি। এরপর তারা আশা করেছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহযোগীতা করবে। নিষেধাজ্ঞা দিবে। এসব সপ্ন দেখতে দেখতে মাস পার হয়েছে। এখন বাইডেনের চিঠির পর বিএনপিকে প্রশ্ন করি আপনারা কি বলবেন? কে আপনাদের সহযোগীতা করবে। ক্ষমতা থেকে সরকারকে হঠানো বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এখন বিএনপির উৎস কোথায়?
সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আপনারা (বিএনপি) কী বলবেন? কে আপনাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য আসবে? কে আমাদেরকে (আওয়ামী লীগ) হটাতে আসবে? যাদের আশায় ছিলেন তারা তো এখন একসঙ্গেই কাজ করার জন্য এসেছেন। নেতারা তো অনেকেই পালিয়ে আছেন, অনেকে প্রকাশ্যে আসেন না। এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে? দেশের জনগণ আপনাদের থেকে সরে গেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ২৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। সংসদ বসেছে। অধিবেশনের শুরুতেই স্ট্যান্ডিং কমিটি পর্যন্ত হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি নিজ হাতে লিখেছেন।
মিয়ানমারে সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগের বিষয়। সরকার কোনো অবস্থাতেই প্রোভোকোশনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে না। আলাপ আলোচনার সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আহ্বান করবো পাশ্ববর্তী দেশের জন্য আতংক হয় এমন বিষয় সমাধান করা। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সমাধান হতে পারে।
ছাত্রলীগ সহযোগী সংগঠন। এ দলে শতভাগ ভালো মানুষ দাবি করতে পারি না। খারাপ কাজ কেউ কেউ করে। খারাপ কাজকে প্রশ্রয় দেইনা। এসব কাজ করে কেউ পার পেয়ে যায় না। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। বিশ্বজিৎসহ সকল ঘটনার বিচার করেছি। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় দল তাকে প্রশ্রয় দিবে না।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।