ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব ক‌রে কড়া প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টারশেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে প্রতিবাদ জা‌নি‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডে‌কে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির তাকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানান। দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ছাড়াও সীমান্তে চলমান পরিস্থিতির কার‌ণে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হ‌য়ে‌ছে।

এ পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত রোববার বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের প্রবেশ ও বাংলাদেশ অংশে রাখাইনের সংঘাতের কারণে বাংলাদেশি হতাহত হওয়ায় নেপিদোকে প্রতিবাদপত্র দিয়েছে ঢাকা। প্রতিবাদপত্রে কী কারণে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে ঢুকেছেন, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সদস্যদের ফেরত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। চিঠিতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মিয়ানমার পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রয়েছে। সোমবার সকালে মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেশটিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের কথা হয়েছে। মিয়ানমার তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। এখন কোন প্রক্রিয়ায় ফেরত নেবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, এর আগে ভারতেও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনেকে ঢুকে পড়েছিল। সেখান থেকে সেই সদস্যদের আকাশপথে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় জোরালো যুদ্ধ করছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা একত্রিত হয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকটি শহরসহ রাখাইনের বড় এলাকা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) সংঘাতের জে‌রে বাংলাদেশে আশ্রয় নি‌য়ে‌ছে বিজিপির সদস্যসহ মোট ২২৯ জন।

বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এদিকে, মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব ক‌রে কড়া প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টারশেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে প্রতিবাদ জা‌নি‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডে‌কে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির তাকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানান। দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ছাড়াও সীমান্তে চলমান পরিস্থিতির কার‌ণে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হ‌য়ে‌ছে।

এ পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত রোববার বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের প্রবেশ ও বাংলাদেশ অংশে রাখাইনের সংঘাতের কারণে বাংলাদেশি হতাহত হওয়ায় নেপিদোকে প্রতিবাদপত্র দিয়েছে ঢাকা। প্রতিবাদপত্রে কী কারণে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে ঢুকেছেন, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সদস্যদের ফেরত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। চিঠিতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মিয়ানমার পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রয়েছে। সোমবার সকালে মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেশটিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের কথা হয়েছে। মিয়ানমার তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। এখন কোন প্রক্রিয়ায় ফেরত নেবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, এর আগে ভারতেও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনেকে ঢুকে পড়েছিল। সেখান থেকে সেই সদস্যদের আকাশপথে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় জোরালো যুদ্ধ করছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা একত্রিত হয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকটি শহরসহ রাখাইনের বড় এলাকা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) সংঘাতের জে‌রে বাংলাদেশে আশ্রয় নি‌য়ে‌ছে বিজিপির সদস্যসহ মোট ২২৯ জন।

বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এদিকে, মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।