০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থমথমে মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এখনো থমথমে। বুধবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। সংঘাতের জেরে আতংকে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনের নির্দেশে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দাদের অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। পুরো এলাকাই হয়ে পড়ছে জনশূন্য।

উৎকন্ঠা আর আতংকের মধ্যে দিন পার করছেন বান্দরবানের ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের মানুষ। ওপার থেকে ছুটে আসা গোলার আতংকে এলাকা ছাড়ছে স্থানীয়রা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতার জন্য মাইকিং অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা জিরো টলারেন্সের মধ্যে আছি, সীমান্তে যেন কোনো অনুপ্রবেশ না হয় সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও অন্য বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হয়েছে।

সীমান্ত বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, সীমান্তে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছে। জেলা প্রশাসন ও সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ইতোমধ্যে জনবল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাইশ ফাঁড়ি তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ২০ পরিবার, ভাজাবনিয়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, তুমব্রু কোনার পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, ঘুমধুম পূর্ব পাড়া থেকে ২০ পরিবার, তুমব্রু হিন্দু পাড়া থেকে ১০ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের উখিয়া, মরিচ্যা, কোট বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গত সোমবার থেকে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা যায়।

মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টারশেলে এরইমধ্যে নিহত হয়েছেন ঘুমধুমের জলপাইতলীর হোসনে আরা ও এক রোহিঙ্গা। শোকেরও সময় পাননি, কোনরকমে দাফন শেষ করেই প্রাণ বাচাঁতে নিজ বসতভিটা ছেড়ে যেতে হয়েছে স্বজনদের।আতংকে একদিনেই এলাকা ছেড়েছে ১৮০টি পরিবার। তাদের মধ্যে অনেকেই হয় আত্মীয়ের বাড়িতে, না হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন।।

এখনো যারা বাড়ী-ঘরে অবস্থান করছেন তাদেরকেও আশ্রয় কেন্দ্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বাড়িঘর-দোকানপাট ফেলে রেখেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছে সীমান্তবাসী।

থমথমে মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি

আপডেট : ০৫:৪৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এখনো থমথমে। বুধবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। সংঘাতের জেরে আতংকে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনের নির্দেশে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দাদের অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। পুরো এলাকাই হয়ে পড়ছে জনশূন্য।

উৎকন্ঠা আর আতংকের মধ্যে দিন পার করছেন বান্দরবানের ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের মানুষ। ওপার থেকে ছুটে আসা গোলার আতংকে এলাকা ছাড়ছে স্থানীয়রা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতার জন্য মাইকিং অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা জিরো টলারেন্সের মধ্যে আছি, সীমান্তে যেন কোনো অনুপ্রবেশ না হয় সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও অন্য বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হয়েছে।

সীমান্ত বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, সীমান্তে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছে। জেলা প্রশাসন ও সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ইতোমধ্যে জনবল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাইশ ফাঁড়ি তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ২০ পরিবার, ভাজাবনিয়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, তুমব্রু কোনার পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, ঘুমধুম পূর্ব পাড়া থেকে ২০ পরিবার, তুমব্রু হিন্দু পাড়া থেকে ১০ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের উখিয়া, মরিচ্যা, কোট বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গত সোমবার থেকে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা যায়।

মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টারশেলে এরইমধ্যে নিহত হয়েছেন ঘুমধুমের জলপাইতলীর হোসনে আরা ও এক রোহিঙ্গা। শোকেরও সময় পাননি, কোনরকমে দাফন শেষ করেই প্রাণ বাচাঁতে নিজ বসতভিটা ছেড়ে যেতে হয়েছে স্বজনদের।আতংকে একদিনেই এলাকা ছেড়েছে ১৮০টি পরিবার। তাদের মধ্যে অনেকেই হয় আত্মীয়ের বাড়িতে, না হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন।।

এখনো যারা বাড়ী-ঘরে অবস্থান করছেন তাদেরকেও আশ্রয় কেন্দ্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বাড়িঘর-দোকানপাট ফেলে রেখেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছে সীমান্তবাসী।