ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য ঘোষণা করল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি)।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ অফিস আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) গেজেট প্রকাশ হবে।

এর আগে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরে আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন ও প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পাঠান। বুধবার মন্ত্রণালয়ে হার্ড কপি জমা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িকে গত ২ জানুয়ারি নিজেদের ‘জিআই পণ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর।

ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। এটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন।

পোস্টটি নজরে আসার পরপরই বাংলাদেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক ওঠে এবং টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব বাংলাদেশের নেওয়ার দাবি ওঠে।

তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য ঘোষণা করল সরকার

আপডেট সময় : ০৫:২৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি)।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ অফিস আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) গেজেট প্রকাশ হবে।

এর আগে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরে আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন ও প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পাঠান। বুধবার মন্ত্রণালয়ে হার্ড কপি জমা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িকে গত ২ জানুয়ারি নিজেদের ‘জিআই পণ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর।

ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। এটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন।

পোস্টটি নজরে আসার পরপরই বাংলাদেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক ওঠে এবং টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব বাংলাদেশের নেওয়ার দাবি ওঠে।

তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছেন।