০৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সরকারের দুর্বলতার কারণে সীমান্তে বাংলাদেশীদের রক্ত ঝরছে’

সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার ঘাটতি থাকায় মিয়ানমারের বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় রিজভী বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশের মানুষ। আমাদের সীমান্ত অরক্ষিত। সেখানে মানুষ নিরাপদ নয়। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশীদের রক্ত ঝরছে। সরকারের নীরবতায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা এখন ঝুঁকিতে রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে দেশে বিজিপি অর্থাৎ মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রবেশকে রহস্যজনক বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির বাণী এখন দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অথচ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত এবং জনগণ ছিল নিরাপদ।

রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপ-ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এই ভদ্রলোককে দেখলাম… বর্তমান বিনা ভোটের সরকার প্রধানের কাছে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। কাদের বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে?

বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত অক্টোবরে ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, ‘আপস হয়ে গেছে। আমরা আছি, দিল্লীও আছে। দিল্লী আছে, আমরাও আছি’। এই কথার অর্থ দেশের জনগণ নয়, আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকে আছে দিল্লীর করুণার ওপর। আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য হচ্ছে নিজ দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা। বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য মারা গেলেও আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।

রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া জনগণের সমাদৃত নেত্রী, এটাই তার অপরাধ। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার সেটা দিচ্ছে না।’

শতাব্দির শ্রেষ্ঠ প্রহসন হচ্ছে ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচন এমন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সীমান্তে মানুষ হত্যা হলেও সরকার এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো প্রতিবাদ জানাতে পারেনি। তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা নিয়ে এই সরকারের কোনো অঙ্গীকার নেই বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির বিপুল নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও তাদের মুক্তি মেলেনি। নানা ধরনের সরকারি চক্রান্তে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। আজও মুক্তি মেলেনি খালেদা জিয়ার। বিএনপির সকল রাজবন্দিদের মিথ্যা মামলা তুলে নিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

‘সরকারের দুর্বলতার কারণে সীমান্তে বাংলাদেশীদের রক্ত ঝরছে’

আপডেট : ১০:১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার ঘাটতি থাকায় মিয়ানমারের বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় রিজভী বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশের মানুষ। আমাদের সীমান্ত অরক্ষিত। সেখানে মানুষ নিরাপদ নয়। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশীদের রক্ত ঝরছে। সরকারের নীরবতায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা এখন ঝুঁকিতে রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে দেশে বিজিপি অর্থাৎ মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রবেশকে রহস্যজনক বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির বাণী এখন দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অথচ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত এবং জনগণ ছিল নিরাপদ।

রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপ-ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এই ভদ্রলোককে দেখলাম… বর্তমান বিনা ভোটের সরকার প্রধানের কাছে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। কাদের বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে?

বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত অক্টোবরে ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, ‘আপস হয়ে গেছে। আমরা আছি, দিল্লীও আছে। দিল্লী আছে, আমরাও আছি’। এই কথার অর্থ দেশের জনগণ নয়, আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকে আছে দিল্লীর করুণার ওপর। আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য হচ্ছে নিজ দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা। বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য মারা গেলেও আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।

রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া জনগণের সমাদৃত নেত্রী, এটাই তার অপরাধ। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার সেটা দিচ্ছে না।’

শতাব্দির শ্রেষ্ঠ প্রহসন হচ্ছে ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচন এমন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সীমান্তে মানুষ হত্যা হলেও সরকার এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো প্রতিবাদ জানাতে পারেনি। তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা নিয়ে এই সরকারের কোনো অঙ্গীকার নেই বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির বিপুল নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও তাদের মুক্তি মেলেনি। নানা ধরনের সরকারি চক্রান্তে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। আজও মুক্তি মেলেনি খালেদা জিয়ার। বিএনপির সকল রাজবন্দিদের মিথ্যা মামলা তুলে নিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।