ঢাকা ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তিও পাবে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থ ব্যবস্থাপনায় ভালো করায় আইএমএফের তৃতীয় কিস্তিও বাংলাদেশ পাবে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি। বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছে।

এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে অবশ্য কথা বলেননি জায়েন্দু। তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের চলমান অর্থনৈতিক নানা বিষয় উঠে আসে এদিনের এই সৌজন্য বৈঠকে।

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এই পরিকল্পনা মন্দ নয়, তবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

গেল ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে যোগ হয় । এ অর্থ অনুমোদনের আগে প্রথম কিস্তিতে দেয়া ঋণের শর্তের কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তা দেখতে অক্টোবরে এসেছিল সংস্থাটির রিভিউ মিশন। কিছু শর্ত অপূর্ণ থাকার কথা তখন তাদের জানিয়েছিল সরকার। কারণও তুলে ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণের।

ওই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে করা আর্থিক খাতের রিফর্ম অ্যাগ্রিমেন্ট (সংস্কার) বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখেছিল আইএমএফ। ছয়টি শতের্র মধ্যে দুটিতে পিছিয়ে থাকার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। জুন পর্যন্ত রিজার্ভের স্থিতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ধরে রাখতে না পারা এবং জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় করতে না পারার ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছিল।

জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী স্থিতিশীল সরকার এলে সংস্কারের বাকি পদক্ষেপও বাস্তবায়ন করা হবে-এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুরোধ করা হয়েছিল বাংলাদেশের তরফ থেকে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও চার কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ। প্রতিবারই কিস্তি ছাড়ের আগে ঋণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আগের অর্থের ব্যবহার ও শর্ত বাস্তবায়ন দেখে সিদ্ধান্ত নেবে আইএমএফ। এ অর্থ রিজার্ভের ওপর চাপ কমিয়ে বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি দূর করতে ভূমিকা রাখবে। অর্থনীতিকে যা গতিশীল রাখতে কাজে দেবে বলে আশা নীতি নির্ধারকসহ অর্থনীতিবিদদের।

আইএমএফের সঙ্গে করা সমঝোতায় আর্থিক ও রাজস্ব খাতে সংস্কারের পাশাপাশি ভর্তুকি কমিয়ে জ্বালানির দাম সমন্বয়ের পথে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। রয়েছে বিনিময় হার বাজারমুখী করা, ৯ শতাংশ সুদহার তুলে দেয়া, ব্যাংক ঋণের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, রিজার্ভের হিসাব আইএমএফ স্বীকৃত পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী করা, মুদ্রানীতি আধুনিকায়ন করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ। যেগুলোর অনেকখানি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তিও পাবে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অর্থ ব্যবস্থাপনায় ভালো করায় আইএমএফের তৃতীয় কিস্তিও বাংলাদেশ পাবে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি। বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছে।

এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে অবশ্য কথা বলেননি জায়েন্দু। তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের চলমান অর্থনৈতিক নানা বিষয় উঠে আসে এদিনের এই সৌজন্য বৈঠকে।

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এই পরিকল্পনা মন্দ নয়, তবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

গেল ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে যোগ হয় । এ অর্থ অনুমোদনের আগে প্রথম কিস্তিতে দেয়া ঋণের শর্তের কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তা দেখতে অক্টোবরে এসেছিল সংস্থাটির রিভিউ মিশন। কিছু শর্ত অপূর্ণ থাকার কথা তখন তাদের জানিয়েছিল সরকার। কারণও তুলে ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণের।

ওই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে করা আর্থিক খাতের রিফর্ম অ্যাগ্রিমেন্ট (সংস্কার) বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখেছিল আইএমএফ। ছয়টি শতের্র মধ্যে দুটিতে পিছিয়ে থাকার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। জুন পর্যন্ত রিজার্ভের স্থিতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ধরে রাখতে না পারা এবং জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় করতে না পারার ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছিল।

জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী স্থিতিশীল সরকার এলে সংস্কারের বাকি পদক্ষেপও বাস্তবায়ন করা হবে-এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুরোধ করা হয়েছিল বাংলাদেশের তরফ থেকে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও চার কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ। প্রতিবারই কিস্তি ছাড়ের আগে ঋণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আগের অর্থের ব্যবহার ও শর্ত বাস্তবায়ন দেখে সিদ্ধান্ত নেবে আইএমএফ। এ অর্থ রিজার্ভের ওপর চাপ কমিয়ে বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি দূর করতে ভূমিকা রাখবে। অর্থনীতিকে যা গতিশীল রাখতে কাজে দেবে বলে আশা নীতি নির্ধারকসহ অর্থনীতিবিদদের।

আইএমএফের সঙ্গে করা সমঝোতায় আর্থিক ও রাজস্ব খাতে সংস্কারের পাশাপাশি ভর্তুকি কমিয়ে জ্বালানির দাম সমন্বয়ের পথে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। রয়েছে বিনিময় হার বাজারমুখী করা, ৯ শতাংশ সুদহার তুলে দেয়া, ব্যাংক ঋণের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, রিজার্ভের হিসাব আইএমএফ স্বীকৃত পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী করা, মুদ্রানীতি আধুনিকায়ন করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ। যেগুলোর অনেকখানি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ।