০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পালিয়ে আসা ১০০ বিজিপি সদস্যকে টেকনাফে স্থানান্তর

মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে এখান থেকে সমুদ্র পথে পাঠানো হবে মংডুতে।

অবশ্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) জানিয়েছে, প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এই স্থানান্তর। বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবির গাড়িতে করে টেকনাফের উপকূলবর্তী হ্নিলায় নেওয়া হচ্ছে তাদের।

গত ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যের পালেতওয়া শরে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তের কাছের পাউকতাও শহর এবং পুরো পালেতওয়াসহ অন্যান্য এলাকায় মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর অন্তত ১৭০টি অবস্থান দখল করেছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলা–বারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র সেহেলি সাবরিন সাংবাদিকদের জানান, বিজিপির সদস্যদের ফেরানোর রুপপ্ল্যান চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তাদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হবে।

সেহেলী সাবরিন বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তির প্রত্যাবাসন চায়, সময় ক্ষেপনের সুযোগ নেই। আশা করা হচ্ছে অতি দ্রুততম সময়ে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। সেটা আকাশ পথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়টিই হচ্ছে সবচেয়ে জরুরী।’

বিজিবি জানিয়েছে, স্থানান্তর করা বিজিপির ১০০ জন সদস্যকে টেকনাফের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তবে তাদের সবাইকে এক সাথে, না ধাপে ধাপে ফেরত পাঠানো হবে, সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার(৮ই ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের উলুবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে এই দুই বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) অনুপ্রবেশ করেন। পরে তাদের হেফাজতে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ নিয়ে মোট ৩৩০ জন বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে পালিয়ে আসাদের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩৩০ জনে। এরমধ্যে ২৫১ জন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি। বাকিদের মধ্যে দুজন সেনা কর্মকর্তা, চার সিআইডি, ৫ স্থানীয় পুলিশ, ৯ স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্য। এ ছাড়া ২০ জন ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চারজন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন।

পালিয়ে আসা ১০০ বিজিপি সদস্যকে টেকনাফে স্থানান্তর

আপডেট : ০৪:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে এখান থেকে সমুদ্র পথে পাঠানো হবে মংডুতে।

অবশ্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) জানিয়েছে, প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এই স্থানান্তর। বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবির গাড়িতে করে টেকনাফের উপকূলবর্তী হ্নিলায় নেওয়া হচ্ছে তাদের।

গত ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যের পালেতওয়া শরে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তের কাছের পাউকতাও শহর এবং পুরো পালেতওয়াসহ অন্যান্য এলাকায় মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর অন্তত ১৭০টি অবস্থান দখল করেছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলা–বারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র সেহেলি সাবরিন সাংবাদিকদের জানান, বিজিপির সদস্যদের ফেরানোর রুপপ্ল্যান চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তাদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হবে।

সেহেলী সাবরিন বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তির প্রত্যাবাসন চায়, সময় ক্ষেপনের সুযোগ নেই। আশা করা হচ্ছে অতি দ্রুততম সময়ে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। সেটা আকাশ পথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়টিই হচ্ছে সবচেয়ে জরুরী।’

বিজিবি জানিয়েছে, স্থানান্তর করা বিজিপির ১০০ জন সদস্যকে টেকনাফের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তবে তাদের সবাইকে এক সাথে, না ধাপে ধাপে ফেরত পাঠানো হবে, সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার(৮ই ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের উলুবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে এই দুই বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) অনুপ্রবেশ করেন। পরে তাদের হেফাজতে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ নিয়ে মোট ৩৩০ জন বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে পালিয়ে আসাদের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩৩০ জনে। এরমধ্যে ২৫১ জন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি। বাকিদের মধ্যে দুজন সেনা কর্মকর্তা, চার সিআইডি, ৫ স্থানীয় পুলিশ, ৯ স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্য। এ ছাড়া ২০ জন ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চারজন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন।