ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই, সংস্কারের পাশাপাশি সঠিক সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন জরুরি : তারেক রহমান

নাইকো দুর্নীতি মামলা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই দিন ধার্য করেন।

এরআগে, গত ২৩ মে থেকে এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম তার সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। মঙ্গলবার তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে বাদীর মামলার এজাহার দেখে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করলে তা নিয়ে আপত্তি জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। মাহবুবুল আলমের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন মামলার অন্যতম আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সেলিম ভূঁইয়ার আইনজীবীরা।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘এদিন (মঙ্গলবার) মামলাটি বাদীর সাক্ষ্যের জন্য রাখা ছিল। বাদী এজাহার দেখে দেখে সাক্ষ্য দেন। এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি। যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এজন্য আমরা সাক্ষ্য গ্রহণ মূলতবি রাখার আবেদন করি। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বাদী আজও দেখে দেখে সাক্ষ্য দেন। আমরা এর আপত্তি ও বিরোধীতা করি। তারপরও আদালত তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তার জবানবন্দি শেষে আগামি ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। একজন বিদেশী এ মামলায় সাক্ষ্য দিবেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণের ওপর ওইদিন শুনানি হবে।’

গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে আলোচিত এ মামলায় অভিযোগপত্র গঠনের আদেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইকো দুর্নীতি মামলা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ সেপ্টেম্বর

আপডেট সময় : ১০:৩৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই দিন ধার্য করেন।

এরআগে, গত ২৩ মে থেকে এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম তার সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। মঙ্গলবার তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে বাদীর মামলার এজাহার দেখে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করলে তা নিয়ে আপত্তি জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। মাহবুবুল আলমের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন মামলার অন্যতম আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সেলিম ভূঁইয়ার আইনজীবীরা।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘এদিন (মঙ্গলবার) মামলাটি বাদীর সাক্ষ্যের জন্য রাখা ছিল। বাদী এজাহার দেখে দেখে সাক্ষ্য দেন। এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি। যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এজন্য আমরা সাক্ষ্য গ্রহণ মূলতবি রাখার আবেদন করি। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বাদী আজও দেখে দেখে সাক্ষ্য দেন। আমরা এর আপত্তি ও বিরোধীতা করি। তারপরও আদালত তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তার জবানবন্দি শেষে আগামি ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। একজন বিদেশী এ মামলায় সাক্ষ্য দিবেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণের ওপর ওইদিন শুনানি হবে।’

গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে আলোচিত এ মামলায় অভিযোগপত্র গঠনের আদেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।