০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বব্যাপী পরিবহন প্রতিবন্ধকতায় জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে, যার জন্য বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জিনিসের দামও বেড়ে যাচ্ছে, পণ্য আনতে সময়ও লেগে যাচ্ছে। নানা কারণে বহির্বিশ্বের চাপটা আমাদের ওপর এসে পড়ছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাইরের দেশের ওপর আমাদের নির্ভরশীল থাকার দরকার নেই, আমরা নিজেরা সব উৎপাদন করবো। এজন্য সবাইকে বলেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন পড়ে না থাকে।

তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আমাদের বাইরের দেশ থেকে আনতেই হচ্ছে। আমরা নিজেরা যদি উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা করি, সেটা কিন্তু আমরা পারবো। ধীরে ধীরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে যেসব প্রকল্পগুলো অল্প খরচ করলেই শেষ হয়ে যাবে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। পুরাতন প্রকল্প সম্পন্ন করলে, নতুন প্রকল্প নিতে পারবো। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেগুলোও দ্রুত শেষ করা উচিত। তা নাহলে অহেতুক খরচও বাড়ে, কালক্ষেপণ হয়। সেটি যেন না হয়।

প্রকল্প নেওয়ার সময় গুরুত্ব বিবেচনা করে বাছাই করার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য যে প্রকল্পগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় সেটা আমাদের দেখা দরকার। আমাদের যে লক্ষ্যটা আছে সেটা আমরা অর্জন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে প্রবৃদ্ধি বাড়ছিল, অগ্রগতি হচ্ছিল তখন প্রথমে আসলো কোভিড-১৯ অতিমারি, তার ধাক্কায় সারা বিশ্বব্যাপী, সব কিছু স্থবির। এরপর আসলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা, এখন আবার গাজায় গণহত্যা, আক্রমণ চলছে।

বিশ্বব্যাপী পরিবহন প্রতিবন্ধকতায় জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৯:০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে, যার জন্য বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জিনিসের দামও বেড়ে যাচ্ছে, পণ্য আনতে সময়ও লেগে যাচ্ছে। নানা কারণে বহির্বিশ্বের চাপটা আমাদের ওপর এসে পড়ছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাইরের দেশের ওপর আমাদের নির্ভরশীল থাকার দরকার নেই, আমরা নিজেরা সব উৎপাদন করবো। এজন্য সবাইকে বলেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন পড়ে না থাকে।

তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আমাদের বাইরের দেশ থেকে আনতেই হচ্ছে। আমরা নিজেরা যদি উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা করি, সেটা কিন্তু আমরা পারবো। ধীরে ধীরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে যেসব প্রকল্পগুলো অল্প খরচ করলেই শেষ হয়ে যাবে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। পুরাতন প্রকল্প সম্পন্ন করলে, নতুন প্রকল্প নিতে পারবো। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেগুলোও দ্রুত শেষ করা উচিত। তা নাহলে অহেতুক খরচও বাড়ে, কালক্ষেপণ হয়। সেটি যেন না হয়।

প্রকল্প নেওয়ার সময় গুরুত্ব বিবেচনা করে বাছাই করার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য যে প্রকল্পগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় সেটা আমাদের দেখা দরকার। আমাদের যে লক্ষ্যটা আছে সেটা আমরা অর্জন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে প্রবৃদ্ধি বাড়ছিল, অগ্রগতি হচ্ছিল তখন প্রথমে আসলো কোভিড-১৯ অতিমারি, তার ধাক্কায় সারা বিশ্বব্যাপী, সব কিছু স্থবির। এরপর আসলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা, এখন আবার গাজায় গণহত্যা, আক্রমণ চলছে।