ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কারামুক্ত হলেন মির্জা ফখরুল-আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টা ৩৯ মিনিটের কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই দুই নেতা।

কারামুক্ত হয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে। ক্ষমতা দখল করেও সরকার পরাজিত হয়েছে।’

এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন দেন আদালত।

গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস ধরে কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল। আর ২ নভেম্বর থেকে কারাগারে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের বিএনপির এই দুই নেতার জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মো. আসাদুজ্জামান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। আসামিদের অসুস্থতা, বয়স ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে জামিনের প্রার্থনা করেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তরা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৩ নভেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনিও কারাগারে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০ মামলা দায়ের করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

কারামুক্ত হলেন মির্জা ফখরুল-আমীর খসরু

আপডেট সময় : ১১:০১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টা ৩৯ মিনিটের কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই দুই নেতা।

কারামুক্ত হয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে। ক্ষমতা দখল করেও সরকার পরাজিত হয়েছে।’

এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন দেন আদালত।

গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস ধরে কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল। আর ২ নভেম্বর থেকে কারাগারে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের বিএনপির এই দুই নেতার জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মো. আসাদুজ্জামান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। আসামিদের অসুস্থতা, বয়স ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে জামিনের প্রার্থনা করেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তরা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৩ নভেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনিও কারাগারে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০ মামলা দায়ের করা হয়।