বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় সর্বকালের সর্বোচ্চ
- আপডেট সময় : ০৬:১৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বে সামরিক খাতে ব্যয় নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ। লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গেল বছর বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়ে ২.২ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তায় সামরিক খাতে ব্যয় বাড়াতে বাধ্য হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ইউরোপের বাকি সদস্য দেশগুলো তাদের সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ। অনিরাপদ বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে এই খাতে বিনিয়োগ কমলেও, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের উৎপাদন বাড়িয়েছে বহুগুণ।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাজেট গত বছর প্রায় ৯ গুণ বেড়ে ৩১.১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ছিল ১০৮.৫ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরে আরও প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। যা রুশ জাতীয় বাজেটের তিন ভাগের এক ভাগ।
হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চার মাসের যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক জনগণ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। সম্প্রতি যুদ্ধ পরিচালনায় অতিরিক্ত ১৫ বিলিয়ন ডলার বাজেট বাড়িয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকেও অস্ত্রের একটি বড় চালান যাচ্ছে ইসরাইলে।
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণে ঝুঁকিতে পড়ে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল। তাদের দমনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট নতুন করে হামলা শুরু করে। সেইসঙ্গে পাল্টাপাল্টি হামলা চলে লেবানন, ইরান, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক অঞ্চলে। এমন অবস্থায় প্রতিবেশি অনেক দেশ নিজেদের সুরক্ষায় তাদের সামরিক খাতে ব্যয় বাড়াতে বাধ্য হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চীন সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়েছে। ওদিকে তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে কোরীয় অঞ্চল।
এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা প্রতিরোধে নিজেদের সশস্ত্র করে গড়ে তুলছে আশেপাশের দেশগুলো। আধুনিক অস্ত্র এবং প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ায়, সমরাস্ত্র গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ।