জয় পেয়েছে ইউনাইটেড
- আপডেট সময় : ০৬:২৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৩৭ সেকেন্ড। স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দারুণ এক গোল করে বসলেন এ মৌসুমেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যাওয়া রাসমুস হইলুন। ব্যস, এতেই রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলটপালট।
প্রিমিয়ার লিগে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টানা ছয় ম্যাচে গোলের কীর্তি গড়লেন ২১ বছর বয়সী ডেনিশ স্ট্রাইকার। শুধু তাই নয়, লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে দ্রুততম গোলের রেকর্ডও এটি।
কেবল এক গোল করেই থামেননি হইলুন। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে গোল পেয়েছেন আরও একটি। গতকাল রোববার রাতে তাঁর জোড়া গোলে লুটন টাউনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ইউনাইটেড। লিগে এ মৌসুমে এবারই প্রথম টানা চার ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট পেল এরিক টেন হাগের দল। ২৫ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগে এখন ছয়ে ইউনাইটেড।
ঘরের মাঠ কেনিলওর্থ রোড স্টেডিয়ামে এদিন উপস্থিত ১১ হাজার ৪৮৩ দর্শকের সামনে ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে বসে লুটন টাউন। রেফারি ডেভিড কোতের ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজানোর ৩৭ সেকেন্ডের মাথায় গোল। ২১ বছর ১৪ দিন বয়সী হইলুনের নাম এতে রেকর্ড বইয়ে উঠে যায়।
এর আগে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে টানা ছয় ম্যাচে গোল করার কীর্তি ছিল জো উইলককের। তিনি ২০২০-২০২১ মৌসুমে নিউক্যাসলের জার্সি গায়ে ২১ বছর ২৭২ দিন বয়সে টানা ছয় ম্যাচে গোল করেছিলেন।
হইলুন কিছুক্ষণ বাদে আবারও ইউনাইটেডের গোলউৎসবের মধ্যমণি। অবশ্য ৭ মিনিটের গোলে হইলুনের চেয়ে আলেহান্দ্রো গারনাচোর অবদান বেশি। ইউনাইটেডের কর্নার থেকে হেড করে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেছিলেন লুটন ডিফেন্ডার। কিন্তু বল চলে আসে ডি বক্সের লাইনে থাকা আর্জেন্টাইন উইংগারের সামনে। গারনাচোর দারুণ ভলি হইলুনের বুকে লেগে বাঁক বদলে লুটনের জালে আশ্রয় নেয়।
এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ১৪ ম্যাচে কোনো গোল পাননি হইলুন। এ নিয়ে চারদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আটালান্টা থেকে তাঁকে আনতে খরচ করা ৭ কোটি ৩৯ লাখ ইউরো জলে গেল কি না, এ নিয়েও কথা ওঠে। পরের ছয় ম্যাচেই গোল করে সমালোচনার জবাব কি দারুণ ভাবেই না দিচ্ছেন হইলুন!
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও খুব বেশি স্বস্তিতে থাকতে পারেনি ইউনাইটেড। একের পর এক আক্রমণে মরিয়া হয়ে ওঠে লুটন। এর ফলও পেয়ে যায় তারা। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে ব্যবধান কমান কার্লটন মরিস।
ম্যাচের বয়স ১৫ মিনিট না হতেই তিনটি গোল। গোলবন্যার অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। কিন্তু এরপর বাকি সময় জুড়ে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।