ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রোজা শুরুর আগেই জিম্মি মুক্তি চায় ইসরায়েল, নইলে সর্বত্র হামলা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রোজা শুরুর আগেই জিম্মিদের না ছাড়লে রাফাহ অঞ্চলে স্থল অভিযান চালাবে ইসরায়েল। রোববার এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, আগামী ১০ মার্চ রমজান মাস শুরুর আগেই জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজার রাফাহ অঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন গ্যান্টজ। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসী এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, জিম্মি থাকা আমাদের নাগরিকরা যদি রমজানের শুরুতে নিজ বাড়িতে না ফিরতে পারে তাহলে রাফাহ অঞ্চলের সর্বত্র অভিযান চলবে।’

গ্যান্টজ আরও বলেন, ‘ইসরায়েল এমনভাবে অভিযানটি পরিচালনা করবে যাতে সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা কমানো যায়। বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা আমাদের আমেরিকান এবং মিশরীয় মিত্রদের সাথে আলোচনা করবো।’

গাজার দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ শহর ফিলিস্তিনিদের কাছে বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধ শুরুর পর বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মিশরের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় অন্তত ১২০০ মানুষ নিহত হয়। আর জিম্মি করা হয় ২৫৩ জনকে। এ ঘটনার পর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে যুদ্ধকালীন এই মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোজা শুরুর আগেই জিম্মি মুক্তি চায় ইসরায়েল, নইলে সর্বত্র হামলা

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রোজা শুরুর আগেই জিম্মিদের না ছাড়লে রাফাহ অঞ্চলে স্থল অভিযান চালাবে ইসরায়েল। রোববার এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, আগামী ১০ মার্চ রমজান মাস শুরুর আগেই জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজার রাফাহ অঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন গ্যান্টজ। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসী এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, জিম্মি থাকা আমাদের নাগরিকরা যদি রমজানের শুরুতে নিজ বাড়িতে না ফিরতে পারে তাহলে রাফাহ অঞ্চলের সর্বত্র অভিযান চলবে।’

গ্যান্টজ আরও বলেন, ‘ইসরায়েল এমনভাবে অভিযানটি পরিচালনা করবে যাতে সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা কমানো যায়। বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা আমাদের আমেরিকান এবং মিশরীয় মিত্রদের সাথে আলোচনা করবো।’

গাজার দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ শহর ফিলিস্তিনিদের কাছে বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধ শুরুর পর বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মিশরের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় অন্তত ১২০০ মানুষ নিহত হয়। আর জিম্মি করা হয় ২৫৩ জনকে। এ ঘটনার পর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে যুদ্ধকালীন এই মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।