ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ফের পেছালো

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা ফের পিছিয়ে ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। ৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিলো আজ।

রায় লেখা শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রায়ের দিন পিছিয়ে ১৩ মার্চ ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত রায় ঘোষণা পিছিয়ে এদিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ সালাম ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকাল ৫টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা খুনিরা তাকে গুলি করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ঘটনার দিনই রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। এ মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মণ্ডল।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহিনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।

এতে আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহিন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এরপর ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ফের পেছালো

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা ফের পিছিয়ে ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। ৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিলো আজ।

রায় লেখা শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রায়ের দিন পিছিয়ে ১৩ মার্চ ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত রায় ঘোষণা পিছিয়ে এদিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ সালাম ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকাল ৫টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা খুনিরা তাকে গুলি করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ঘটনার দিনই রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। এ মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মণ্ডল।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহিনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।

এতে আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহিন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এরপর ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।