ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হুতির হামলায় ভারতের ডিজেল ব্যবসা ক্ষতির মুখে

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লোহিত সাগরে ভারতের জাহাজে সম্প্রতি হামলা করেছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এ ছাড়া মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজেও হামলা করে তারা। এ কারণে ইউরোপে ভারতের ডিজেল ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মাসে ২০২২ সালের পর এই প্রথম ভারত থেকে সবচেয়ে কম ডিজেল সরবরাহ করা হয়েছে ইউরোপে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় জ্বালানির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই এশিয়া ও আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল ইউরোপ। লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণে ইউরোপের আমদানি নির্ভর জ্বালানি খাতের সংকট তীব্র হয়েছে। হামলা এড়াতে আফ্রিকা ঘুরে ইউরোপে যাচ্ছে এশিয়ার জাহাজগুলো। ফলে বেড়েছে ব্যয়।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই জ্বালানি সংকটে ইউরোপ। এ সংকট আরও তীব্র হয়েছে লোহিত সাগরে বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এ হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত হুতিরা।

আর এতে ভারতও ডিজেল ব্যবসায় সংকটে পড়েছে। এনডিটিভি বলছে, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ভারত থেকে দৈনিক গড়ে ১৮ হাজার ব্যারেল জ্বালানি সরবরাহ হয়েছে ইউরোপে। গত মাসের চেয়ে এই পরিমাণ ৯০ শতাংশ কম। এমনটা বলছে ভর্টেক্সা লিমিটেডও।

স্পার্টা কমোডিটিজের বিশ্লেষক জেমস নোয়েল–বেসভিক বলেন, হুতিদের হামলা ছাড়াও সরবরাহ কমার আরও একটি কারণ খরচ বেড়ে যাওয়া। এ মাসে সহজ রুটে আর যেতে পারছে না জাহাজ, যেতে হচ্ছে ঘুরে। এতে খরচই তোলা সম্ভব হচ্ছে না, এ কারণে সরবরাহ কম।

পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে ইইউতে কোনো জ্বালানি সরবরাহ হয়নি। যুক্তরাজ্যে গেছে মাত্র একটি চালান। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে ভারত থেকে জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ রয়েছে।

বালানি বিশ্লেষক নাটালিয়া লোসাদা বলেন, ‘লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে পূর্ব সুয়েজ রুটের ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হবে ইউরোপ। সামনের মাসগুলোতে ইউরোপে ডিজেল ব্যবহার কঠিন হবে।’

পণ্য পরিবহন করা থেকে শুরু করে বিমান চলাচল ও ঘর উষ্ণ রাখতে মূলত ডিজেলের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো। তাই ডিজেলের বাড়তি দাম তাদের অর্থনীতিতে চাপ বাড়াবে।

লোহিত সাগরে সংকট ছাড়াও কমতে শুরু করেছে অ্যামস্টারড্যাম-রটারড্যাম-অ্যান্টওয়ার্প অঞ্চলের মজুত। তাই ডিজেল আমদানি বন্ধ হলে আরও ভয়াবহ হবে ইউরোপের জ্বালানি সংকট।

নিউজটি শেয়ার করুন

হুতির হামলায় ভারতের ডিজেল ব্যবসা ক্ষতির মুখে

আপডেট সময় : ০৬:২৯:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

লোহিত সাগরে ভারতের জাহাজে সম্প্রতি হামলা করেছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এ ছাড়া মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজেও হামলা করে তারা। এ কারণে ইউরোপে ভারতের ডিজেল ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মাসে ২০২২ সালের পর এই প্রথম ভারত থেকে সবচেয়ে কম ডিজেল সরবরাহ করা হয়েছে ইউরোপে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় জ্বালানির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই এশিয়া ও আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল ইউরোপ। লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণে ইউরোপের আমদানি নির্ভর জ্বালানি খাতের সংকট তীব্র হয়েছে। হামলা এড়াতে আফ্রিকা ঘুরে ইউরোপে যাচ্ছে এশিয়ার জাহাজগুলো। ফলে বেড়েছে ব্যয়।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই জ্বালানি সংকটে ইউরোপ। এ সংকট আরও তীব্র হয়েছে লোহিত সাগরে বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এ হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত হুতিরা।

আর এতে ভারতও ডিজেল ব্যবসায় সংকটে পড়েছে। এনডিটিভি বলছে, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ভারত থেকে দৈনিক গড়ে ১৮ হাজার ব্যারেল জ্বালানি সরবরাহ হয়েছে ইউরোপে। গত মাসের চেয়ে এই পরিমাণ ৯০ শতাংশ কম। এমনটা বলছে ভর্টেক্সা লিমিটেডও।

স্পার্টা কমোডিটিজের বিশ্লেষক জেমস নোয়েল–বেসভিক বলেন, হুতিদের হামলা ছাড়াও সরবরাহ কমার আরও একটি কারণ খরচ বেড়ে যাওয়া। এ মাসে সহজ রুটে আর যেতে পারছে না জাহাজ, যেতে হচ্ছে ঘুরে। এতে খরচই তোলা সম্ভব হচ্ছে না, এ কারণে সরবরাহ কম।

পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে ইইউতে কোনো জ্বালানি সরবরাহ হয়নি। যুক্তরাজ্যে গেছে মাত্র একটি চালান। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে ভারত থেকে জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ রয়েছে।

বালানি বিশ্লেষক নাটালিয়া লোসাদা বলেন, ‘লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে পূর্ব সুয়েজ রুটের ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হবে ইউরোপ। সামনের মাসগুলোতে ইউরোপে ডিজেল ব্যবহার কঠিন হবে।’

পণ্য পরিবহন করা থেকে শুরু করে বিমান চলাচল ও ঘর উষ্ণ রাখতে মূলত ডিজেলের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো। তাই ডিজেলের বাড়তি দাম তাদের অর্থনীতিতে চাপ বাড়াবে।

লোহিত সাগরে সংকট ছাড়াও কমতে শুরু করেছে অ্যামস্টারড্যাম-রটারড্যাম-অ্যান্টওয়ার্প অঞ্চলের মজুত। তাই ডিজেল আমদানি বন্ধ হলে আরও ভয়াবহ হবে ইউরোপের জ্বালানি সংকট।