ঢাকা ০২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হুথিদের হামলায় জাহাজ ছেড়ে পালিয়ে গেলো ব্রিটিশরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হুথিদের হামলা ঠেকাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখছে না যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো। কিন্তু কোনো কিছুতেই দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না হুথিদের। আর এবার হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় ভয়ে পালিয়ে গেলেন বেলিজের পতাকাবাহী ও যুক্তরাজ্যের নিবন্ধিত একটি জাহাজের ক্রুরা।

সম্প্রতি এডেন উপসাগরে বাব আল-মানদাব প্রণালীর কাছে রুবিমার নামের জাহাজটিতে হামলা চালায় হুথিরা। যুক্তরাজ্যের সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, একটি জাহাজে হামলার পর সেটির ক্রুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে হুথিরা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত যতো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; সেগুলোর মধ্যে রুবিমার সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এছাড়া এই হামলার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, হুথিদের ঠেকাতে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য যৌথ হামলা চালালেও; সেগুলো তেমন কার্যকরী হচ্ছে না।

জাহাজে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া। তিনি বলেন, “আল্লাহর সাহায্যে, এডেন উপসাগরে আমেরিকান জাহাজকে লক্ষ্য করে দুটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে হুথি। গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন ও অবরোধের শিকার ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ও আমাদের দেশের উপর আমেরিকান-ব্রিটিশ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে আমরা এই হামলা চালিয়েছি। গত ২৪ ঘন্টায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মোট চারটি অপারেশন পরিচালনা করেছে। বেশ কয়েকটি নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল, এবং তা ছিল খুবই সুনির্দিষ্ট। এজন্য মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ। লোহিত সাগর এবং আরব সাগরে আমাদের জনগণ, দেশ ও জাতির প্রতিরক্ষা এবং নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে আমরা অভিযান চালিয়ে যাবো। ফিলিস্তিনী জনগণের উপর আগ্রাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।”

হুথিরা তাদের আক্রমণের ধরনও পরিবর্তন করেছে। শুরুতে তারা বিস্ফোরক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করলেও, সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে মূলত ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে তাদের আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিলো বাব আল-মান্দাব প্রণালীর কাছাকাছি লোহিত সাগরের দক্ষিণ প্রান্ত, যেখানে জাহাজগুলোকে বাধ্য হয়েই হুথি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি উপকূলের খুব কাছ দিয়ে যেতে হতো। তবে গত কয়েক সপ্তাহে তারা মূলত এডেন উপসাগরের দক্ষিণে আঘাত করছে।

বিশ্বে সমুদ্র পথে যতো বাণিজ্য হয়, তার ১২ শতাংশ এই লোহিত সাগর দিয়ে হয়। আর হুথিদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

হুথিদের হামলায় জাহাজ ছেড়ে পালিয়ে গেলো ব্রিটিশরা

আপডেট সময় : ০২:২২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হুথিদের হামলা ঠেকাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখছে না যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো। কিন্তু কোনো কিছুতেই দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না হুথিদের। আর এবার হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় ভয়ে পালিয়ে গেলেন বেলিজের পতাকাবাহী ও যুক্তরাজ্যের নিবন্ধিত একটি জাহাজের ক্রুরা।

সম্প্রতি এডেন উপসাগরে বাব আল-মানদাব প্রণালীর কাছে রুবিমার নামের জাহাজটিতে হামলা চালায় হুথিরা। যুক্তরাজ্যের সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, একটি জাহাজে হামলার পর সেটির ক্রুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে হুথিরা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত যতো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; সেগুলোর মধ্যে রুবিমার সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এছাড়া এই হামলার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, হুথিদের ঠেকাতে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য যৌথ হামলা চালালেও; সেগুলো তেমন কার্যকরী হচ্ছে না।

জাহাজে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া। তিনি বলেন, “আল্লাহর সাহায্যে, এডেন উপসাগরে আমেরিকান জাহাজকে লক্ষ্য করে দুটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে হুথি। গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন ও অবরোধের শিকার ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ও আমাদের দেশের উপর আমেরিকান-ব্রিটিশ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে আমরা এই হামলা চালিয়েছি। গত ২৪ ঘন্টায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মোট চারটি অপারেশন পরিচালনা করেছে। বেশ কয়েকটি নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল, এবং তা ছিল খুবই সুনির্দিষ্ট। এজন্য মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ। লোহিত সাগর এবং আরব সাগরে আমাদের জনগণ, দেশ ও জাতির প্রতিরক্ষা এবং নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে আমরা অভিযান চালিয়ে যাবো। ফিলিস্তিনী জনগণের উপর আগ্রাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।”

হুথিরা তাদের আক্রমণের ধরনও পরিবর্তন করেছে। শুরুতে তারা বিস্ফোরক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করলেও, সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে মূলত ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে তাদের আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিলো বাব আল-মান্দাব প্রণালীর কাছাকাছি লোহিত সাগরের দক্ষিণ প্রান্ত, যেখানে জাহাজগুলোকে বাধ্য হয়েই হুথি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি উপকূলের খুব কাছ দিয়ে যেতে হতো। তবে গত কয়েক সপ্তাহে তারা মূলত এডেন উপসাগরের দক্ষিণে আঘাত করছে।

বিশ্বে সমুদ্র পথে যতো বাণিজ্য হয়, তার ১২ শতাংশ এই লোহিত সাগর দিয়ে হয়। আর হুথিদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।