০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিম্মিদের মুক্তি দিতে যে শর্ত দিলো হামাস

গাজায় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের বন্দি বিনিময় করবে না বলে শর্ত দিয়েছে হামাস। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হাইয়া।

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস তিনটি শর্ত দিয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে- প্রথমত, গাজা অঞ্চলের বাসিন্দার সব রকমের সহায়তা নিশ্চিতে ইসরায়েলি বাধার অবসান এবং বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা পুরোপুরি বন্ধ করা এবং তৃতীয়ত, তেল আবিবের কারাগারে আটক থাকা প্রায় ১০ হাজার বন্দি ফিলিস্তিনির মুক্তি নিশ্চিত করা। কেবলমাত্র এ সব বিষয়ে একমত হলেই জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে মত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন হামাসের ওই নেতা।

হামাসের ওই নেতা বলেন, ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে অস্বিকৃতি জানিয়েছে এবং তারা কারাবন্দি ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফিরতে দিতে নারাজ।

হামাসের এই প্রস্তাবকে বিভ্রান্তিকর প্রস্তাব বলে আখ্যা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ বলেছেন, যদি হামাস রমজান শুরুর আগে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেয় তাহলে গাজার নিরাপত্তার শেষ আশ্রয়স্থল রাফায় স্থল আক্রমণ শুরু করবে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি এক সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজায় ১৩৫ দিন ধরে চলা যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে তিন ধাপের একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করে হামাস। যার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও রয়েছে। তবে হামাসের এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ইসরাইল। সূত্র: আনাদোলু

জিম্মিদের মুক্তি দিতে যে শর্ত দিলো হামাস

আপডেট : ০২:২৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজায় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের বন্দি বিনিময় করবে না বলে শর্ত দিয়েছে হামাস। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হাইয়া।

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস তিনটি শর্ত দিয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে- প্রথমত, গাজা অঞ্চলের বাসিন্দার সব রকমের সহায়তা নিশ্চিতে ইসরায়েলি বাধার অবসান এবং বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা পুরোপুরি বন্ধ করা এবং তৃতীয়ত, তেল আবিবের কারাগারে আটক থাকা প্রায় ১০ হাজার বন্দি ফিলিস্তিনির মুক্তি নিশ্চিত করা। কেবলমাত্র এ সব বিষয়ে একমত হলেই জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে মত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন হামাসের ওই নেতা।

হামাসের ওই নেতা বলেন, ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে অস্বিকৃতি জানিয়েছে এবং তারা কারাবন্দি ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফিরতে দিতে নারাজ।

হামাসের এই প্রস্তাবকে বিভ্রান্তিকর প্রস্তাব বলে আখ্যা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ বলেছেন, যদি হামাস রমজান শুরুর আগে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেয় তাহলে গাজার নিরাপত্তার শেষ আশ্রয়স্থল রাফায় স্থল আক্রমণ শুরু করবে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি এক সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজায় ১৩৫ দিন ধরে চলা যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে তিন ধাপের একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করে হামাস। যার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও রয়েছে। তবে হামাসের এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ইসরাইল। সূত্র: আনাদোলু