০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ সাশ্রয় বিবেচনায় প্রকল্প নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

অর্থ সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রকল্প নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ রোববার স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থ সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রকল্প নিতে হবে। জনগণ সেবা পাচ্ছে কি না–সে বিষয়টি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরই নিশ্চিত করতে হবে।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে যে ওয়াদা করে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন সেসব পূরণ করবেন। কমিশনের জন্য প্রকল্প নেবেন না। প্রকল্প নিলে এর উপযুক্ততা অবশ্যই থাকতে হবে।

নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় যেন কোনোভাবে নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিদ্যুতের ওপর চাপ কমাতে কৃষিকাজে সেচ ব্যবস্থাপনা সোলারের মাধ্যমে করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের প্রতিনিধিদের মূল কাজ মানুষের আস্থা অর্জন করা। সেবা দিয়ে এটা যে করতে পারে সে সফল হয়, না পারলে ব্যর্থ।

তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে, এর সুফল জনগণ পাচ্ছে বলেও জানান তিনি। আর্থ-সামাজিক বঞ্চনার হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়। সংবিধানেও জনসেবার পাশাপাশি কার্যপরিধি ও দায়বদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

এবারের স্থানীয় সরকার দিবসের প্রতিপাদ্য স্মার্ট হবে স্থানীয় সরকার, নিশ্চিত করবে সেবার অধিকার। সকাল সাড়ে দশটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। সারাদেশ থেকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ সাড়ে তিন হাজার জনপ্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

তিনি বলেন প্রকল্প বুঝে শুনে নিতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার স্থানীয় সরকারে বিপুল বাজেট দিয়েছে উন্নয়নের জন্য। প্রত্যেকটা মানুষ যেন নাগরিক সুবিধা পায় সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।

তিনি বলেন রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে স্থানীয় সরকার। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি আরও বলেন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো। সবাই সহযোগিতা করলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে।

সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ দুর্নীতি মাদকমুক্ত করে সমাজ গড়ে তুলতে হবে। সেদিকে দৃষ্টি রেখে আপনারা দেশ এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যখন ২০০৮-এ ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, আমরা সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। প্রথমে তথ্যকেন্দ্র পরে ডিজিটাল সেন্টার করি। আজ সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার আছে। যেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সমগ্র গ্রামবাংলা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটাও আমরা করে দিয়েছি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. লায়েব উদ্দিন লাভলু, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন ও জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাভলু প্রমুখ।

অর্থ সাশ্রয় বিবেচনায় প্রকল্প নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৮:৩৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অর্থ সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রকল্প নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ রোববার স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থ সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রকল্প নিতে হবে। জনগণ সেবা পাচ্ছে কি না–সে বিষয়টি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরই নিশ্চিত করতে হবে।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে যে ওয়াদা করে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন সেসব পূরণ করবেন। কমিশনের জন্য প্রকল্প নেবেন না। প্রকল্প নিলে এর উপযুক্ততা অবশ্যই থাকতে হবে।

নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় যেন কোনোভাবে নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিদ্যুতের ওপর চাপ কমাতে কৃষিকাজে সেচ ব্যবস্থাপনা সোলারের মাধ্যমে করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের প্রতিনিধিদের মূল কাজ মানুষের আস্থা অর্জন করা। সেবা দিয়ে এটা যে করতে পারে সে সফল হয়, না পারলে ব্যর্থ।

তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে, এর সুফল জনগণ পাচ্ছে বলেও জানান তিনি। আর্থ-সামাজিক বঞ্চনার হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়। সংবিধানেও জনসেবার পাশাপাশি কার্যপরিধি ও দায়বদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

এবারের স্থানীয় সরকার দিবসের প্রতিপাদ্য স্মার্ট হবে স্থানীয় সরকার, নিশ্চিত করবে সেবার অধিকার। সকাল সাড়ে দশটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। সারাদেশ থেকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ সাড়ে তিন হাজার জনপ্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

তিনি বলেন প্রকল্প বুঝে শুনে নিতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার স্থানীয় সরকারে বিপুল বাজেট দিয়েছে উন্নয়নের জন্য। প্রত্যেকটা মানুষ যেন নাগরিক সুবিধা পায় সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।

তিনি বলেন রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে স্থানীয় সরকার। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি আরও বলেন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো। সবাই সহযোগিতা করলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে।

সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ দুর্নীতি মাদকমুক্ত করে সমাজ গড়ে তুলতে হবে। সেদিকে দৃষ্টি রেখে আপনারা দেশ এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যখন ২০০৮-এ ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, আমরা সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। প্রথমে তথ্যকেন্দ্র পরে ডিজিটাল সেন্টার করি। আজ সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার আছে। যেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সমগ্র গ্রামবাংলা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটাও আমরা করে দিয়েছি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. লায়েব উদ্দিন লাভলু, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন ও জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাভলু প্রমুখ।