রাতারাতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়: অর্থমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
রাতারাতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, বরং তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেরেবাংলা নগরে বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আনা বেয়ার্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যেসব কার্যক্রম নেয়া হয়েছে তার প্রশংসা করেছেন আনা বেয়ার্দের। এসময় এ কাজ বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সহায়তার আশ্বাস দেন বিশ্বব্যাংকের এমডি।
সমালোচকদের উদ্দেশ্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, শুধু ক্রিটিসিজম করলে কোনো লাভ হবে না। এগুলো শেখ হাসিনা বানিয়েছেন ঠিকই কথা। কিন্তু বানিয়েছেন তো একটা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, একটা চিন্তা নিয়ে। বর্তমান এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং জনগণ এটা গ্রহণ করেছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে কাজ চলছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে, রাতারাতি তো হবে না। আল্টিমেটলি এই ক্রাইসিসটা তো ম্যানেজ করতে হবে।’
এ সময় সরকারের উদ্যোগে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়ে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ড বলেন, গত দুই বছর যাবৎ বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই এখন বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
রোববার উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও আর্থিক খাত পর্যালোচনায় একদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনা বেয়ার্দ। দিনের শুরুতে অর্থমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের মাধ্যমে শুরু হয় কর্মসূচি। সকাল সাড়ে ৯ টার কিছুক্ষণ পর আসেন শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে। অর্থমন্ত্রীর সাথে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক চলে।
তাকে বিদায় জানিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন অর্থমন্ত্রনালয়ের দুই সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার ও শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী । বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানান। বলেন, পুরো বৈঠকজুড়ে গুরুত্ব পেয়েছে মূল্যস্ফীতি। এছাড়া রমজানের পর মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশে নামবে বলে জানান তারা।
দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশকে সহোযোগিতার পাশাপাশি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতেও কাজ করার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
গেল বছর বিশ্ব ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণতা পেয়েছে। এই পাঁচ দশকে বাংলাদেশকে প্রায় ৫ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্ব ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-আইডিএ নিম্ন আয়ের দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য যে ঋণ দেয়, সেখানে বড় সুবিধাভোগী বাংলাদেশ। গেল ৫০ বছরে শুধু আইডিএ’র কাছ থেকে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ আর কম সুদে প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার ঋণ মিলেছে। এছাড়া আইডিএ’র সহায়তায় চলছে ৫৫টি প্রকল্প।
বৈঠকে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজারসহ সংস্থাটির ঢাকা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।