ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন আশা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন আশা জেগেছে। শনিবার ফ্রান্সের প্যারিসে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য যায় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। সেখানে আলোচনায় অগ্রগতির খবর পাওয়ার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া রোববার আমেরিকার হোয়াইট হাউস থেকেও যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে বোঝাপড়া হয়েছে বলে জানানো হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

এর আগে শনিবার তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইসরায়েলের জনগণ। হামাসের সঙ্গে চুক্তি এবং জিম্মি ফেরত আনার বিষয়ে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতার জন্যই এ বিক্ষোভের সূচনা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নতুন করে নির্বাচনের আহ্বানও জানান। এখান থেকেই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি উঠে আসে।

এরপর মিসর, কাতার এবং আমেরিকার মধ্যস্থতায় শনিবার সন্ধ্যায় প্যারিসে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাকে আলোচনার বিষয়ে বলা হয়।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, প্যারিস আলোচনায় লক্ষ্য যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা। এই চুক্তিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে।

এদিকে নেতানিয়াহু সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, ‘আমরা আমাদের জিম্মিদের মুক্তির জন্য আরেকটি রূপরেখা নিয়ে কাজ করছি। তাই আমি প্যারিসে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছি এবং আজ রাতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে আরও আলোচনার জন্য ইসরায়েল একটি প্রতিনিধিদল কাতারে পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়।

অন্যদিকে রোববার আমেরিকার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, একটি জিম্মি চুক্তি এবং অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ‘মূল রূপরেখা’ সম্পর্কে একটি বোঝাপড়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এ ঘটনার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকায় ২৯ হাজারের ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন আশা

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন আশা জেগেছে। শনিবার ফ্রান্সের প্যারিসে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য যায় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। সেখানে আলোচনায় অগ্রগতির খবর পাওয়ার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া রোববার আমেরিকার হোয়াইট হাউস থেকেও যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে বোঝাপড়া হয়েছে বলে জানানো হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

এর আগে শনিবার তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইসরায়েলের জনগণ। হামাসের সঙ্গে চুক্তি এবং জিম্মি ফেরত আনার বিষয়ে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতার জন্যই এ বিক্ষোভের সূচনা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নতুন করে নির্বাচনের আহ্বানও জানান। এখান থেকেই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি উঠে আসে।

এরপর মিসর, কাতার এবং আমেরিকার মধ্যস্থতায় শনিবার সন্ধ্যায় প্যারিসে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাকে আলোচনার বিষয়ে বলা হয়।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, প্যারিস আলোচনায় লক্ষ্য যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা। এই চুক্তিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে।

এদিকে নেতানিয়াহু সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, ‘আমরা আমাদের জিম্মিদের মুক্তির জন্য আরেকটি রূপরেখা নিয়ে কাজ করছি। তাই আমি প্যারিসে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছি এবং আজ রাতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে আরও আলোচনার জন্য ইসরায়েল একটি প্রতিনিধিদল কাতারে পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়।

অন্যদিকে রোববার আমেরিকার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, একটি জিম্মি চুক্তি এবং অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ‘মূল রূপরেখা’ সম্পর্কে একটি বোঝাপড়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এ ঘটনার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকায় ২৯ হাজারের ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার।