০৩:২১ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেআইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে অবৈধ মজুদকারী ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুল্ক প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সকলকে সংযমী হওয়া এবং গুজবে কান না দেয়ার আহবানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে শুরুতেই ছিল প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব। ৩০ মিনিটের এই পর্বে সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

ভোলা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমে প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যা পাওয়া যায়, তা দিয়েই কিন্তু রোজা করতে পারি। এটি না খেলে চলছেই না, এরকম তো কোনো কথা নেই। অন্য সময় মানুষ যেভাবে খায়, সেভাবেই খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে তো আর একটি জিনিসের জন্য কান্নাকাটি শোনা যাবে না।

তিনি বলেন, রমজানে মোবাইল কোর্টসহ প্রত্যেকটা এলাকা পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়। তারপরও যদি কেউ এভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। মূল্যস্ফীতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন খাদ্য নিয়ে খেলতে না পারে এ বিষয়ে সরকার সচেতন আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলায় গঠিত জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স নিয়মিত সভা করে থাকে। ওই টাস্কফোর্স জেলা ও উপজেলা বাজারসমূহে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

তিনি জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরবচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে আমদানির এলসির সর্বনিম্ন মার্জিন গ্রহণসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলার জন্য এবং প্রয়োজনীয় ডলার সরবরাহ রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী রোজায় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার অভিপ্রায়ে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত যোগানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যতম নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে ভারত সরকারের কাছে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বাইরেও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দৈনিকভিত্তিতে কৃষিপণ্যের বাজারদর প্রকাশ করা হচ্ছে।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৫:৪৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেআইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে অবৈধ মজুদকারী ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুল্ক প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সকলকে সংযমী হওয়া এবং গুজবে কান না দেয়ার আহবানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে শুরুতেই ছিল প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব। ৩০ মিনিটের এই পর্বে সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

ভোলা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমে প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যা পাওয়া যায়, তা দিয়েই কিন্তু রোজা করতে পারি। এটি না খেলে চলছেই না, এরকম তো কোনো কথা নেই। অন্য সময় মানুষ যেভাবে খায়, সেভাবেই খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে তো আর একটি জিনিসের জন্য কান্নাকাটি শোনা যাবে না।

তিনি বলেন, রমজানে মোবাইল কোর্টসহ প্রত্যেকটা এলাকা পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়। তারপরও যদি কেউ এভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। মূল্যস্ফীতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন খাদ্য নিয়ে খেলতে না পারে এ বিষয়ে সরকার সচেতন আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলায় গঠিত জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স নিয়মিত সভা করে থাকে। ওই টাস্কফোর্স জেলা ও উপজেলা বাজারসমূহে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

তিনি জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরবচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে আমদানির এলসির সর্বনিম্ন মার্জিন গ্রহণসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলার জন্য এবং প্রয়োজনীয় ডলার সরবরাহ রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী রোজায় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার অভিপ্রায়ে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত যোগানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যতম নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে ভারত সরকারের কাছে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বাইরেও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দৈনিকভিত্তিতে কৃষিপণ্যের বাজারদর প্রকাশ করা হচ্ছে।