গাজায় ত্রাণের সারিতে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার গুলি, নিহত ১০৪
- আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে
খাদ্যের জন্য অপেক্ষার সময় ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় ১০৪ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি সৈন্যদের নির্বিচার গুলিতে অন্তত ১০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি। এছাড়া বুরেজের নুসেররাত এবং খান ইউনিসে শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। এতে আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরা
বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি একাধিক সূত্রও ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা লোকজনের ভিড়ে সৈন্যরা গুলি চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে উত্তর গাজার ওই ত্রাণ কেন্দ্রে উপস্থিত ফিলিস্তিনিরা ‘‘হুমকি তৈরি করেছে’’ ধারণা থেকে সৈন্যরা গুলি চালিয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলার ঘটনাকে ‘‘গণহত্যা’’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে কমপক্ষে ১০৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৬০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেছে, লোকজন এমনভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছাকাছি এসেছিল; যা সৈন্যদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরে তাজা গুলি ছুড়ে হুমকি মোকাবিলা করা হয়েছে।
গাজায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেন, গাজার আল শিফা হাসপাতালে অপুষ্টি, পানিশূন্যতা ও দুর্ভিক্ষের কারণে শিশুরা মারা যাচ্ছে। এ ধরনের মৃত্যু ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (ইউএসআইডি) প্রধান সামান্থা পাওয়ার গাজার অবনতিশীল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা নাটকীয়ভাবে বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলের আরও ক্রসিং উন্মুক্ত করা দরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক ভিডিও পোস্টে পাওয়ার আরও বলেন, এটা জীবন ও মৃত্যুর প্রশ্ন।
এদিকে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। তারা আশা করছে, পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করা যাবে। গাজায় জিম্মি থাকা কয়েকজন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলে আটক কয়েকশ’ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।