০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডে আগুন: হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল

বেইলি রোডের আগুনে হতাহতদের ক্ষতিপূরন কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ২০২৩-২৪ সালে সুউচ্চ ভবন ও কারখানায় কতগুলো আগুনের ঘটনা ঘটেছে এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

বেইলি রোডের বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুইটি পৃথক রিটের প্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জিনাত হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সাথে ভবনগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস, দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্টরা থাকবেন। কমিটিকে ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই কমিটিকে রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলোর সামনে ফায়ার সার্ভিসের দৃশ্যমান নোটিশ টাঙাতে বলা হয়েছে।

এদিন আদালত বলেন, ২০১১ থেকে নিমতলা, চুড়িহাট্টা, তাজনিন গার্মেন্টসের মতো ৯ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাইকোর্টের আদেশে গঠিত কমিটিগুলো কোনো কাজে আসেনি, বিষয়টি দুঃখজনক।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। ফায়ার সার্ভিস জানায়, পুরো ভবনে অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল। এমনকি সিঁড়িতেও মজুত ছিল সিলিন্ডার। ফলে ভবনটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ছিল। এ ছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ বেশকিছু জনপ্রিয় পোশাকের দোকানও ছিল।

এ ঘটনার পর আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন।

আগুনের এ ঘটনার পর রাজধানীর রেস্তোরাগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

বেইলি রোডে আগুন: হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল

আপডেট : ০৭:১৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

বেইলি রোডের আগুনে হতাহতদের ক্ষতিপূরন কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ২০২৩-২৪ সালে সুউচ্চ ভবন ও কারখানায় কতগুলো আগুনের ঘটনা ঘটেছে এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

বেইলি রোডের বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুইটি পৃথক রিটের প্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জিনাত হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সাথে ভবনগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস, দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্টরা থাকবেন। কমিটিকে ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই কমিটিকে রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলোর সামনে ফায়ার সার্ভিসের দৃশ্যমান নোটিশ টাঙাতে বলা হয়েছে।

এদিন আদালত বলেন, ২০১১ থেকে নিমতলা, চুড়িহাট্টা, তাজনিন গার্মেন্টসের মতো ৯ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাইকোর্টের আদেশে গঠিত কমিটিগুলো কোনো কাজে আসেনি, বিষয়টি দুঃখজনক।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। ফায়ার সার্ভিস জানায়, পুরো ভবনে অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল। এমনকি সিঁড়িতেও মজুত ছিল সিলিন্ডার। ফলে ভবনটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ছিল। এ ছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ বেশকিছু জনপ্রিয় পোশাকের দোকানও ছিল।

এ ঘটনার পর আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন।

আগুনের এ ঘটনার পর রাজধানীর রেস্তোরাগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।