ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) আয়োজনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যদের জন্য ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশাল সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) বিকালে পিআইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু। তিনি বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের প্রথম ধাপ হল সাংবাদিকতায় গুজব প্রতিরোধ। একারণে সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই।

শফিকুল করিম সাবু আরো বলেন, সাংবাদিকদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলে ফ্যাক্টচেক,মোবাইল ও ড্রোন জার্নালিজমে আরো অগ্রগতি সম্ভব। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ফ্যাক্টচেক বা গুজব প্রতিরোধে সরকার যেমন কাজ করছে, তেমনি গণমাধ্যমকর্মীদেরও কাজ করতে হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমদ ফ্যাক্টচেক ও ফ্যাক্টচেকবিষয়ক বিভিন্ন কারিগরি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। ডিআরইউর তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ফ্যাক্ট চেক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এ কারণে তিনি পেশাদার সাংবাদিকদের বৃহত্তম সংগঠন ডিআরইউর সব সদস্যদের পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণটি সম্পন্ন করার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে ফলে সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সহজে গুজব প্রতিরোধ করা সম্ভব। গণমাধ্যমকর্মীর প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকলে ছবি, সংবাদ ও অন্যান্য বিষয়াদি খুব সহজে সত্য উদঘাটন করতে পারবে। গুজব প্রতিরোধে ফ্যাক্ট চেকের পাশাপাশি মোবাইল সাংবাদিকতার গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোচনা করেন তিনি।

পিআইবির মহাপরিচালক বলেন, পূর্বের ন্যায় সাংবাদিকতার ধরন পরিবর্তন হওয়ায় সাংবাদিকদের দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। কারণ পরিমিতিবোধ না থাকলে সাংবাদিকতায় আকর্ষণীয় প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয় না। অনুষ্ঠানে পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দীন নিপুনের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে মোট ৩৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

অন্যদিকে পিআইবির অপর একটি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক জোটের সদস্যদের জন্য তিনদিনব্যাপী মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সভাপ্রধান ছিলেন পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। অনুষ্ঠানে পিআইবির প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলমের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে মোট ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই’

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) আয়োজনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যদের জন্য ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশাল সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) বিকালে পিআইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু। তিনি বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের প্রথম ধাপ হল সাংবাদিকতায় গুজব প্রতিরোধ। একারণে সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই।

শফিকুল করিম সাবু আরো বলেন, সাংবাদিকদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলে ফ্যাক্টচেক,মোবাইল ও ড্রোন জার্নালিজমে আরো অগ্রগতি সম্ভব। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ফ্যাক্টচেক বা গুজব প্রতিরোধে সরকার যেমন কাজ করছে, তেমনি গণমাধ্যমকর্মীদেরও কাজ করতে হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমদ ফ্যাক্টচেক ও ফ্যাক্টচেকবিষয়ক বিভিন্ন কারিগরি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। ডিআরইউর তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ফ্যাক্ট চেক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এ কারণে তিনি পেশাদার সাংবাদিকদের বৃহত্তম সংগঠন ডিআরইউর সব সদস্যদের পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণটি সম্পন্ন করার দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে ফলে সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সহজে গুজব প্রতিরোধ করা সম্ভব। গণমাধ্যমকর্মীর প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকলে ছবি, সংবাদ ও অন্যান্য বিষয়াদি খুব সহজে সত্য উদঘাটন করতে পারবে। গুজব প্রতিরোধে ফ্যাক্ট চেকের পাশাপাশি মোবাইল সাংবাদিকতার গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোচনা করেন তিনি।

পিআইবির মহাপরিচালক বলেন, পূর্বের ন্যায় সাংবাদিকতার ধরন পরিবর্তন হওয়ায় সাংবাদিকদের দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। কারণ পরিমিতিবোধ না থাকলে সাংবাদিকতায় আকর্ষণীয় প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয় না। অনুষ্ঠানে পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দীন নিপুনের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে মোট ৩৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

অন্যদিকে পিআইবির অপর একটি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক জোটের সদস্যদের জন্য তিনদিনব্যাপী মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সভাপ্রধান ছিলেন পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। অনুষ্ঠানে পিআইবির প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলমের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে মোট ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।