০৩:১৭ অপরাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুতিনের কাছে মাথা নত করব না: বাইডেন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে মাথা নত করবেন না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে স্টেট ইউনিয়ন ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

স্টেট ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পুরনো একটি রীতি। দেশটির সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময় পর পর কংগ্রেসকে স্টেট ইউনিয়ন সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে প্রেসিডেন্টের। তিনি যেসব বিষয়কে প্রয়োজন ও সমীচীন মনে করেন, বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সেইসব প্রস্তাবের ব্যাপারে কংগ্রেসের কাছে সুপারিশও করতে পারেন। এই ভাষণ দেশের নীতি নির্ধারণে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সারা বছর কোন ধরনের নীতি গ্রহণ করা হবে তাও এই ভাষণে নির্ধারিত হয়।

ভাষণে বাইডেন অভিযোগ করেন, ট্রাম্পের আমলে রিপাবলিকানরা পুতিনের কাছে মাথা নত করেছিলেন। এসময় ট্রাম্পকে বিপজ্জনক হিসেবেও আখ্যায়িত করেন বাইডেন।

ভাষণের শুরুতে বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকান গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে। সরব হন কংগ্রেসের সদস্যরা। আমেরিকানদের এই বিপদের বিষয়ে সতর্ক করুন।’

তবে পুরো ভাষণে ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ করেননি বাইডেন। তিনি ট্রাম্পকে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলে সম্বোধন করেন।

ভাষণে গাজা যুদ্ধ নিয়ে খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেন। তিনি হামাসের হাতে অপহৃত হওয়া সবাইকে ফিরিয়ে আনারও প্রতিশ্রুতি দেন।

গাজা পরিস্থিতি হৃদয় বিদারক হিসেবে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘আমরা একটি যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই যুদ্ধবিরতি ছয় সপ্তাহের জন্য স্থায়ী হবে।’

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দল থেকে তেমন বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তাই নভেম্বরের নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়নও এখন নিশ্চিত।

পুতিনের কাছে মাথা নত করব না: বাইডেন

আপডেট : ০১:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে মাথা নত করবেন না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে স্টেট ইউনিয়ন ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

স্টেট ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পুরনো একটি রীতি। দেশটির সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময় পর পর কংগ্রেসকে স্টেট ইউনিয়ন সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে প্রেসিডেন্টের। তিনি যেসব বিষয়কে প্রয়োজন ও সমীচীন মনে করেন, বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সেইসব প্রস্তাবের ব্যাপারে কংগ্রেসের কাছে সুপারিশও করতে পারেন। এই ভাষণ দেশের নীতি নির্ধারণে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সারা বছর কোন ধরনের নীতি গ্রহণ করা হবে তাও এই ভাষণে নির্ধারিত হয়।

ভাষণে বাইডেন অভিযোগ করেন, ট্রাম্পের আমলে রিপাবলিকানরা পুতিনের কাছে মাথা নত করেছিলেন। এসময় ট্রাম্পকে বিপজ্জনক হিসেবেও আখ্যায়িত করেন বাইডেন।

ভাষণের শুরুতে বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকান গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে। সরব হন কংগ্রেসের সদস্যরা। আমেরিকানদের এই বিপদের বিষয়ে সতর্ক করুন।’

তবে পুরো ভাষণে ট্রাম্পের নাম উচ্চারণ করেননি বাইডেন। তিনি ট্রাম্পকে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলে সম্বোধন করেন।

ভাষণে গাজা যুদ্ধ নিয়ে খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেন। তিনি হামাসের হাতে অপহৃত হওয়া সবাইকে ফিরিয়ে আনারও প্রতিশ্রুতি দেন।

গাজা পরিস্থিতি হৃদয় বিদারক হিসেবে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘আমরা একটি যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই যুদ্ধবিরতি ছয় সপ্তাহের জন্য স্থায়ী হবে।’

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দল থেকে তেমন বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তাই নভেম্বরের নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়নও এখন নিশ্চিত।