০৫:২৩ অপরাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১০ হাজার ৭০৩ বেসামরিক

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৭০৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্তত ৫৯৪ জন শিশুও রয়েছে। শুক্রবার (০৮ মার্চ) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক সহকারী প্রধান মোহাম্মদ খালেদ খায়ের এই তথ্য জানিয়েছেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা বেসামরিক লোকজন-অবকাঠামোর ওপর যে কোনো হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এ ধরনের হামলা নিষিদ্ধ। ইউক্রেন এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বেসামরিকদের ওপর যেসব হামলা হচ্ছে, সেগুলো একদমই অগ্রহণযাগ্য এবং অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।’

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, শুক্রবারের ওই বৈঠকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা লিসা ডোটেন ও উপস্থিত ছিলেন। এসময় খালেদ বলেন, ‘রাশিয়ার দখলকৃত দোনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং ঝাপোরিজ্জিয়ার অন্তত ১৫ লাখ মানুষের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানকার রুশ প্রশাসনের বাধার কারণে জাতিসংঘের ত্রাণ এসব অঞ্চলে পৌঁছাতে পারছে না।

২০২২ সালে শুরু হওয়ার পর গত দুই বছরে বেশ কয়েক বার এই যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং ঝাপোরিজ্জিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত থাকে, তবেই রুশ বাহিনী অভিযান বন্ধ করবে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত বছর এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ঘোষণা করেছন, রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিন যতদিন ক্ষমতাসীন থাকবেন, ততদিন পর্যন্ত রুশ প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাবে না কিয়েভ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১০ হাজার ৭০৩ বেসামরিক

আপডেট : ০২:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৭০৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্তত ৫৯৪ জন শিশুও রয়েছে। শুক্রবার (০৮ মার্চ) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক সহকারী প্রধান মোহাম্মদ খালেদ খায়ের এই তথ্য জানিয়েছেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা বেসামরিক লোকজন-অবকাঠামোর ওপর যে কোনো হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এ ধরনের হামলা নিষিদ্ধ। ইউক্রেন এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বেসামরিকদের ওপর যেসব হামলা হচ্ছে, সেগুলো একদমই অগ্রহণযাগ্য এবং অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।’

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, শুক্রবারের ওই বৈঠকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা লিসা ডোটেন ও উপস্থিত ছিলেন। এসময় খালেদ বলেন, ‘রাশিয়ার দখলকৃত দোনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং ঝাপোরিজ্জিয়ার অন্তত ১৫ লাখ মানুষের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানকার রুশ প্রশাসনের বাধার কারণে জাতিসংঘের ত্রাণ এসব অঞ্চলে পৌঁছাতে পারছে না।

২০২২ সালে শুরু হওয়ার পর গত দুই বছরে বেশ কয়েক বার এই যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং ঝাপোরিজ্জিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত থাকে, তবেই রুশ বাহিনী অভিযান বন্ধ করবে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত বছর এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ঘোষণা করেছন, রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিন যতদিন ক্ষমতাসীন থাকবেন, ততদিন পর্যন্ত রুশ প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাবে না কিয়েভ।