১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীন দেশের যা প্রয়োজন সবই করে দিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের যা প্রয়োজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সবই করে দিয়ে গিয়েছিলেন। ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলের মানুষের মধ্যে ক্ষমতা দিয়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আর্থসামাজিক উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। যখনই সেই পদক্ষেপ নিলেন, তখন এলো চরম আঘাত— ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট। জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়।

আজ (সোমবার) দুপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো কিছুতেই উৎকর্ষ লাভ করা যায় না। গবেষণার বিষয়ে সরকার সবসময়ই আন্তরিক। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ। তাছাড়া বিজ্ঞানকে বঙ্গবন্ধুই বেশি গুরুত্ব দিতেন। ’৭৫ এর পর স্বৈরশাসকরা গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ, একটা রিজার্ভ মানি নেই, কারেন্সি নোট নেই, যুদ্ধকালীন সময়ে কোনো ক্ষেতে ফসল হয়নি, যা কিছু ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সারা দেশ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাড়কার করে দেয়। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি ছিল গৃহহারা, আর এক কোটি মানুষ ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই ধরনের অবস্থায় শূন্য হাতে দাঁড়িয়ে মাত্র তিন বছর সাত মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা এলাকায় স্কুল, কলেজের সবগুলোর অবকাঠামো তৈরি করা, শিক্ষার ক্ষেত্রে বিনা পয়সায় বই দেওয়া, ছেলে-মেয়ে, শিক্ষকরা যাতে পোশাক পরতে পারেন সে ব্যবস্থাও তিনি করেছেন।

তিনি বলেন, একেকটা দলের নীতি ও দেশপ্রেমের বিষয় থাকে। আওয়ামী লীগ সবসময় বিশ্বাস করে- নিজেরা করবো, কারও কাছে হাত পাতবো না। সরকারের মূল লক্ষ্য মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণায় বেশি গুরুত্ব দেয়া। অনুদান ও ফেলোশিপের টাকা জনগণের। তাই গবেষণা যেন জনকল্যাণে কাজে লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট দেশ গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করি বিজ্ঞানীদের ওপর। বিজ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মধ্যদিয়েই দেশ এগিয়ে যাবে।’ এ সময় নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অনূর্ধ্ব ১৬ দলকে ডেকে প্রাইজমানি দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ৫৪ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ২৫ জনকে ন্যাশনাল সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ১০ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ও ১৯ জনকে বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।

স্বাধীন দেশের যা প্রয়োজন সবই করে দিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১১:৫০:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের যা প্রয়োজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সবই করে দিয়ে গিয়েছিলেন। ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলের মানুষের মধ্যে ক্ষমতা দিয়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আর্থসামাজিক উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। যখনই সেই পদক্ষেপ নিলেন, তখন এলো চরম আঘাত— ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট। জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়।

আজ (সোমবার) দুপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো কিছুতেই উৎকর্ষ লাভ করা যায় না। গবেষণার বিষয়ে সরকার সবসময়ই আন্তরিক। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ। তাছাড়া বিজ্ঞানকে বঙ্গবন্ধুই বেশি গুরুত্ব দিতেন। ’৭৫ এর পর স্বৈরশাসকরা গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ, একটা রিজার্ভ মানি নেই, কারেন্সি নোট নেই, যুদ্ধকালীন সময়ে কোনো ক্ষেতে ফসল হয়নি, যা কিছু ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সারা দেশ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাড়কার করে দেয়। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি ছিল গৃহহারা, আর এক কোটি মানুষ ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই ধরনের অবস্থায় শূন্য হাতে দাঁড়িয়ে মাত্র তিন বছর সাত মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা এলাকায় স্কুল, কলেজের সবগুলোর অবকাঠামো তৈরি করা, শিক্ষার ক্ষেত্রে বিনা পয়সায় বই দেওয়া, ছেলে-মেয়ে, শিক্ষকরা যাতে পোশাক পরতে পারেন সে ব্যবস্থাও তিনি করেছেন।

তিনি বলেন, একেকটা দলের নীতি ও দেশপ্রেমের বিষয় থাকে। আওয়ামী লীগ সবসময় বিশ্বাস করে- নিজেরা করবো, কারও কাছে হাত পাতবো না। সরকারের মূল লক্ষ্য মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণায় বেশি গুরুত্ব দেয়া। অনুদান ও ফেলোশিপের টাকা জনগণের। তাই গবেষণা যেন জনকল্যাণে কাজে লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট দেশ গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করি বিজ্ঞানীদের ওপর। বিজ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মধ্যদিয়েই দেশ এগিয়ে যাবে।’ এ সময় নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অনূর্ধ্ব ১৬ দলকে ডেকে প্রাইজমানি দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ৫৪ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ২৫ জনকে ন্যাশনাল সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ১০ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ও ১৯ জনকে বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।