ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ক্যু করে ক্ষমতা দখল করেছে আওয়ামী লীগ: আমীর খসরু

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:১০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ক্যু করে জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করেছে আওয়ামী লীগ। কারণ নির্বাচনে সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেনি। আমরা বলেছি যাবেন না, জনগণ যায়নি। তারা বলেছে না গেলে ভাতা কেটে নেবে। হুমকি দেওয়া হয়েছে। তারপরও তো জনগণ যায়নি। ৯৫ শতাংশ জনগণ বিগত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরপরও কেউ ক্ষমতা দখল করে থাকতে চাইলে সেটা তাদের বড় সমস্যা।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউরীতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সেহেরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

আমীর খসরু বলেন, জনগণকে সব নির্বাচনের প্রক্রিয়ার বাইরে রেখেও তাদের ভোট কেড়ে নিয়ে যখন জোর করে বারবার ক্ষমতা দখল করবেন, তখন আপনার মুখ দিয়ে যা ইচ্ছে আপনি বলতে পারবেন। জনগণ তখন কি ভাবছে বা কি করছে অথবা কি চাইছে তখন সেটা আর বিবেচ্য থাকে না। কারণ যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি তারা তো অবৈধ সরকার। তাদের যা ইচ্ছে তারা সেটা বলতে পারবে। কারণ তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, জবাবদিহি নেই।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন ও কর্মসূচি চলমান আছে। যতদিন বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে না পাবে, এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কেউ যদি মনে করে জনগণকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে ক্যু করে ক্ষমতা দখল করে টিকে থাকতে পারবে, এর চেয়ে বড় ভুল আর কিছু নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এমন সময়ে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে যখন বাংলাদেশের পাঁচ কোটির বেশি মানুষ আজ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এসময়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এ উদ্যোগ কিছু মানুষের জীবনে অন্তত স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে। অন্তত কয়েক বেলা তারা খেতে পারবে, ইফতার করতে পারবে। বিএনপির কাজ এরকমই হতে হবে। বিএনপি মানে জনগণ, জনগণ মানে বিএনপি।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী ও মুক্তিকামী জনগণ বিগত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এখানে আজ অনেক গরিব মানুষ এসেছেন। আপনাদের বলা হয়েছে, যদি ভোটকেন্দ্রে না যান তাহলে আপনাদের ভাতা কেড়ে নেওয়া হবে। আপনারা অভাবী মানুষ। আপনাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে তবুও আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাননি। আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। এজন্য বিএনপি ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অভাব থাকা সত্ত্বেও সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাননি। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের বিজয়। এটা আমাদের আন্দোলনের সুফল। যে আন্দোলনে আমাদের শত শত নেতাকর্মী নিহত হয়েছে, লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া হয়েছে, জেলে গেছে। এত সমস্যার মধ্যেও আমাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের সঙ্গে ছিলেন। এটাই বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের আত্মা ফিরিয়ে দিতে হবে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজের যন্ত্র বানিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় কিন্তু মানুষের মন জয় করা যায় না। বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। বিএনপি বিগত ১৭ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। এর ওপর সরকারের দমন, নিপীড়ন ও হামলা-মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা এখন নিঃস্ব প্রায়। তারপরও জনগণের দল হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকে। আর জনবিরোধী সরকারের জনগণের জন্য কোনো মায়া নেই। কারণ তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সারা দেশের মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্যু করে ক্ষমতা দখল করেছে আওয়ামী লীগ: আমীর খসরু

আপডেট সময় : ০৯:১০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ক্যু করে জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করেছে আওয়ামী লীগ। কারণ নির্বাচনে সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেনি। আমরা বলেছি যাবেন না, জনগণ যায়নি। তারা বলেছে না গেলে ভাতা কেটে নেবে। হুমকি দেওয়া হয়েছে। তারপরও তো জনগণ যায়নি। ৯৫ শতাংশ জনগণ বিগত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরপরও কেউ ক্ষমতা দখল করে থাকতে চাইলে সেটা তাদের বড় সমস্যা।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউরীতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সেহেরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

আমীর খসরু বলেন, জনগণকে সব নির্বাচনের প্রক্রিয়ার বাইরে রেখেও তাদের ভোট কেড়ে নিয়ে যখন জোর করে বারবার ক্ষমতা দখল করবেন, তখন আপনার মুখ দিয়ে যা ইচ্ছে আপনি বলতে পারবেন। জনগণ তখন কি ভাবছে বা কি করছে অথবা কি চাইছে তখন সেটা আর বিবেচ্য থাকে না। কারণ যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি তারা তো অবৈধ সরকার। তাদের যা ইচ্ছে তারা সেটা বলতে পারবে। কারণ তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, জবাবদিহি নেই।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন ও কর্মসূচি চলমান আছে। যতদিন বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে না পাবে, এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কেউ যদি মনে করে জনগণকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে ক্যু করে ক্ষমতা দখল করে টিকে থাকতে পারবে, এর চেয়ে বড় ভুল আর কিছু নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এমন সময়ে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে যখন বাংলাদেশের পাঁচ কোটির বেশি মানুষ আজ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এসময়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এ উদ্যোগ কিছু মানুষের জীবনে অন্তত স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে। অন্তত কয়েক বেলা তারা খেতে পারবে, ইফতার করতে পারবে। বিএনপির কাজ এরকমই হতে হবে। বিএনপি মানে জনগণ, জনগণ মানে বিএনপি।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী ও মুক্তিকামী জনগণ বিগত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এখানে আজ অনেক গরিব মানুষ এসেছেন। আপনাদের বলা হয়েছে, যদি ভোটকেন্দ্রে না যান তাহলে আপনাদের ভাতা কেড়ে নেওয়া হবে। আপনারা অভাবী মানুষ। আপনাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে তবুও আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাননি। আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। এজন্য বিএনপি ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অভাব থাকা সত্ত্বেও সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাননি। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের বিজয়। এটা আমাদের আন্দোলনের সুফল। যে আন্দোলনে আমাদের শত শত নেতাকর্মী নিহত হয়েছে, লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া হয়েছে, জেলে গেছে। এত সমস্যার মধ্যেও আমাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের সঙ্গে ছিলেন। এটাই বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের আত্মা ফিরিয়ে দিতে হবে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজের যন্ত্র বানিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় কিন্তু মানুষের মন জয় করা যায় না। বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। বিএনপি বিগত ১৭ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। এর ওপর সরকারের দমন, নিপীড়ন ও হামলা-মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা এখন নিঃস্ব প্রায়। তারপরও জনগণের দল হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকে। আর জনবিরোধী সরকারের জনগণের জন্য কোনো মায়া নেই। কারণ তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সারা দেশের মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী সরকার।