গাজায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল
- আপডেট সময় : ০২:১৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
- / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেখানে ত্রাণ প্রবেশের অপ্রতুলতাকে ‘মানবসৃষ্ট’ বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেফ বোরেল। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জোসেফ বোরেল বলেন, ‘স্থলপথের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহের অভাবের কারণে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। মানবিক সংকট মনুষ্যসৃষ্ট এবং যখন আমরা সমুদ্র, আকাশপথে সহায়তা প্রদানের পথ খুঁজি, তখন আমাদের মনে রাখতে হবে, রাস্তার মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের প্রাকৃতিক উপায় কৃত্রিমভাবে বন্ধ।’
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি প্রধান আরও বলেন, ‘ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যখন আমরা ইউক্রেনে এই ঘটনার নিন্দা করেছি, তখন গাজায় যা ঘটছে তার জন্যও আমাদের একই শব্দ ব্যবহার করতে হবে।’
ইসরায়েলের অবরোধ ও বাধার কারণে গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ প্রবেশ করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে গাজার বাসিন্দারা কার্যত দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। অনাহারে, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের বাধার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় খুব অল্প পরিমাণ ত্রাণ সেখানে প্রবেশ করতে পারছে।
অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ নিয়ে সাইপ্রাস থেকে একটি স্প্যানিশ জাহাজ রওনা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর থেকে রওনা দেয় ‘ওপেন আর্মস’ নামের ত্রাণবাহী জাহাজটি। কিন্তু স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের চাহিদা এ দিয়ে পূরণ হবে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গাজায় দ্রুততার সঙ্গে কার্যকরভাবে ত্রাণ পাঠানো যায় সড়ক পথে।
গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে।